যায়েদ বিন খালেদ আল-জুহানী (রাঃ) হ’তে বর্ণিত যে, হুদায়বিয়াতে এক রাতে আকাশে এক চিহ্ন দেখা যায়। সেদিন রাসূলুল্লা-হ (ছাল্লাল্লা-হু আলাইহি অ-সাল্লাম) ফজরের নামায শেষে লোকদের দিকে ফিরে বসেন এবং বলেন, তোমাদের প্রতিপালক কী বলেছেন তা কি তোমরা জান? উত্তরে তারা বলল, আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলই ভাল জানেন। তখন তিনি বললেন, আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন, আমার কিছু বান্দা আমার উপর বিশ্বাসী হয়ে আর কিছু বান্দা অবিশ্বাসী হয়ে সকালে উঠে। যারা বলে আল্লাহর দয়া ও অনুগ্রহে বৃষ্টি হয়েছে তারা আমার প্রতি বিশ্বাসী আর গ্রহ-নক্ষত্রে অবিশ্বাসী। আর যারা বলে অমুক অমুক গ্রহের প্রভাবে বৃষ্টি হয়েছে তারা আমার প্রতি অবিশ্বাসী আর গ্রহ-নক্ষত্রের প্রতি বিশ্বাসী হিসাবে গণ্য” (বুখারী, ফাৎহুলবারী সহ ২/৩৩৩)।
গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাবে বৃষ্টি হওয়ার কথা বিশ্বাস করা যেমন কুফরী, তেমনি পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত রাশিফলের আশ্রয় নেওয়াও কুফরী কাজ। যে ব্যক্তি রাশিফলের উপর গ্রহ-নক্ষত্রের প্রভাবের কথা বিশ্বাস করবে, সে সরাসরি মুশরিক হয়ে যাবে। পত্র-পত্রিকা ও বই-পুস্তকে লিখিত রাশিফলের প্রতি বিশ্বাসী হয়ে সেগুলি পাঠ করা শির্ক। তবে বিশ্বাস না করে কেবল মানসিক সান্ত্বনা অর্জনের জন্য পড়লে তাতে শিরক হবে না বটে, তবে তা কবীরা গুনাহ হিসাবে গণ্য হবে। কেননা শির্কী কোন কিছু পাঠ করে সান্তনা লাভ করা জায়েয নয়। তাছাড়া শয়তান কর্তৃক তার মনে উক্ত বিশ্বাস জন্মিয়ে দিতে অল্প সময়ের প্রয়োজন, ফলে এ পড়াই তার শির্কের সাথে জড়িয়ে যাওয়ার কারণ হ’তে পারে।
No comments:
Post a Comment