Saturday, June 20, 2015

ইফতার

ইফতারঃ
সূর্য ডুবার সাথে সাথে খানা, খাদ্য ও পানি গ্রহণের মাধ্যমে ভেঙ্গে ফেলাকে ইফতার বলা হয়।
তাড়াতাড়ি ইফতার করা এবং দেরীতে সাহূর গ্রহণ করা শরীয়তের নিকট পছন্দনীয় কাজ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
لا يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْفِطْرَ
মানুষ ততদিন কল্যাণের ভিতর থাকবে যতদিন তাড়াতাড়ি (আগেভাগে) ইফতার করবে। (বুখারী হাদীছ নং ১৯৫৭, মুসলিম হাদীছ নং ১০৯৮)
হাদীছে কুদসীতে এসছে, قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ أَحَبُّ عِبَادِي إِلَيَّ أَعْجَلُهُمْ فِطْرً আল্লাহ বলেছেন, বান্দদের ভিতর ঐ ব্যক্তি আমার নিকট অধিক প্রিয় যে আগে ভাগে ইফতার করে। (তিরমিযী হাদীছ নং ৭০০-৭০১, ছহীহ ইবনু খুযাইমাহ্‌ হাদীছ নং ২০৬১) আরেকটি হাদীছে আছে,
لَا تَزَالُ أُمَّتِي بِخَيْرٍ مَا أَخَّرُوا السَّحُورَ وَعَجَّلُوا الْفِطْرَ
আমার উম্মত ততদিন কল্যাণের মাঝে থাকবে যতদিন তারা আগেভাগে (সূর্য ডুবার সাথে সাথে) ইফতার করবে এবং দেরীতে সাহুর গ্রহণ করবে। (মুসনাদ আহমদ, দুরুস রামাযান ২৫ পৃঃ)

উপরোক্ত হাদীছের শিক্ষা এই যে, সূর্য ডুবে যাওয়ার পর অধিক সতর্কতার যুক্তিতে দুতিন মিনিট দেরীতে ইফতার করা শয়তানের কুমন্ত্রণার অনুসরন ছাড়া আর কিছু নয়। সম্ভবতঃ এই ধরণের সতর্কবাদীদের সাবধানের জন্যই উপরোক্ত হাদীছগুলো এসেছে।
ইফতারের দুআঃ
'বিসমিল্লাহ' বলে ইফতার করবে। 'আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু ওয়া আলা রিয্‌কিকা আফতারতু' এই দুয়াটি নির্ভরযোগ্য ও সহীহ সূত্রে সাব্যস্ত হয়নি বিধায় শুধু 'বিসমিল্লাহ' পর্যন্ত উল্লেখ করলাম। (দেখুন ইরওয়াঊল গালীল ৪/৩৬-৩৯ পৃঃ)
ইফতার শেষ করে এই দুয়া বলবে:
ذَهَبَ الظَّماَءُ واَبْتَلَّتِ الْعُرُوْقُ وَثَبَتَ الأجْرُ إنْ شاَءَ اللهُ
উচ্চারণঃ যাহাবায্‌যমাউ আব্‌তাল্লাতিল ঊরূকু অছাবাতাল আজরু ইন্‌শা আল্লাহ।
অর্থঃ তৃষ্ণা বিদুরিত হয়েছে, শিরা-উপশিরা সতেজ হয়েছে এবং আল্লাহ চাইলে (রোযার) প্রতিদানও নিশ্চিত হয়েছে। (আবু দাউদ হাদীছ নং ২৩৫ ও ইরওয়া ৯২০)
(Shaikh Abdullah Al Kafi)

No comments:

Post a Comment