Tuesday, June 16, 2015

পরনারীর প্রতি ইচ্ছাপূর্বক দৃষ্টিপাত করা


পরনারীর প্রতি ইচ্ছাপূর্বক দৃষ্টিপাত করা:


এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿قُل لِّلْمُؤْمِنِيْنَ يَغُضُّوْا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوْا فُرُوْجَهُمْ ذَلِكَ أَزْكَى لَهُمْ إِنَّ اللهَ خَبِيْرٌ بِمَا يَصْنَعُوْنَ﴾
(النــور:৩০)
অর্থঃ “(হে মুহাম্মাদ! (ছাল্লাল্লা-হু আলাইহি অ-সাল্লাম) আপনি মু‘মিন বান্দাদেরকে বলেদিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নীচু করে রাখে আর তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। আর এ ব্যবস্থাতেই তাদের জন্য বড় পবিত্রতা রয়েছে। নিশ্চয়ই তারা যা কিছু করে সে সম্পর্কে মহান আল্লাহ সব কিছুই খবর রাখেন” (আন-নূর,৩০)। এ প্রসঙ্গে মহানবী (ছাল্লাল্লা-হু আলাইহি অ-সাল্লাম) বলেছেন, "زِنَا الْعَيْنِ النَّظَرُ" অর্থঃ “চোখের যিনা হলো দৃষ্টিপাত করা বা দেখা” (বুখারী, ফাতহুলবারী ১১/২৬)। অর্থাৎ আল্লাহ তা‘আলা যে সব মেয়েলোকদেরকে দেখা হারাম করে দিয়েছেন তাদেরকে ইচ্ছাকৃতভাবে দেখাই হলো চোখের যিনা। তবে ইসলামী শরী‘আত যে সমস্ত বিষয়ে বা যে সমস্ত প্রয়োজনে মেয়েদের প্রতি তাকানো এবং তাদেরকে দেখার অনুমতি দিয়েছেÑ সে সমস্ত বিষয়ে তাদেরকে দেখা যাবে, এতে কোন দোষ নেই। যেমন বিবাহের জন্য মেয়ে দেখা, ডাক্তার কর্তৃক রুগিণীকে দেখা ইত্যাদি।
এমনিভাবে পুরুষদের ন্যায় মহিলারাও অপরিচিত পুরুষদের প্রতি কুমতলবে তাকাতে পারবে না। কেননা এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা‘আলা বলেছেন,
﴿وَقُل لِّلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوْجَهُنَّ ...﴾
(النــور:৩১)
অর্থঃ “(হে নাবী! (ছাল্লাল্লা-হু আলাইহি অ-সাল্লাম) আপনি ঈমানদার তথা বিশ্বাসী রমণীদেরকে বলেদিন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নীচু রাখে আর তাদের লজ্জাস্থানকে হিফাযত করে” (আন-নূর,৩১)।
এমনিভাবে একজন পুরুষের সতর অন্য পুরুষের দেখা, আর একজন নারীর সতর অন্য একজন নারীর দেখাও হারাম। আর যে সতর দেখা জায়েয নেই সে সতর স্পর্শ করাও জায়েয নয়। এমনকি কোন আবরণ বা পর্দার উপর দিয়েও ঐ সতর বা লজ্জাস্থান স্পর্শ করা জায়েয নেই। এখন কথা হলো, বেশকিছু লোক তারা শয়তানি খেলায় মত্ত হয়ে বিভিন্ন পত্র-পত্রিকায়, সিনেমা হলে বা ফিল্মে ও সিডিতে একেবারেই উলঙ্গ ছবি দেখে থাকে। তাদের দাবী হলো, এসব তো শুধু ছবি! এসমস্ত ছবির কোন বাস্তবতা নেই। সুতরাং এ গুলি দেখলে দোষ হবে কেন? তবে এগুলি যে পরিষ্কার হারাম এতে কোন সন্দেহ নেই। কেননা এগুলির ক্ষতিকর এবং যৌন উত্তেজনা সৃষ্টিকারী প্রভাব খুবই স্পষ্ট। বলা যেতে পারে বর্তমান যুগে এই সমস্ত মাধ্যমগুলিই বিশেষ করে যুবক ছেলেদেরকে এবং যুবতী মেয়েদেরকে যিনা-ব্যভিচারের দিকে দুর্বার গতিতে ধাবিত করছে। মোটকথা বর্তমান এসব মাধ্যমগুলিকেই যিনা-ব্যভিচারের অন্যতম প্রবেশদ্বার হিসাবে গণ্য করা যায়। আর যিনা-ব্যভিচারের এসমস্ত মাধ্যমগুলি মুসলমানদের প্রকাশ্য শত্র“ ইয়াহুদি ও খ্রীষ্টানদের দ্বারা সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে প্রচার করা হচ্ছে। এই ঘৃণিত পাপ কাজ থেকে আল্লাহ তা‘আলা মুসলিম জাতিকে হিফাযত করুন। আমীন।

No comments:

Post a Comment