২০রাকাতে হাদিস গুলি জইফ।
জানার জন্য জানানোর জন্য, যারা হক খুঁজে তাদের কাছে আল্লাহ্ হক পৌঁছে দেন।
>>আনওয়ার শাহ কাশমিরি হানাফি জইফ বলেছেন।এবং নিশ্চয়
রাসুল সঃ এর তারাবিহ ৮রাকাতইছিল
(আল আরফুশ শাজি ১ম খন্ড ১৬৬পৃ )
>>হিদায়ার বিখ্যাত ব্যাখ্যা গ্রন্তকার হজরত আল্লামা ইবনুল হুমাম
ইন্তিকাল ৬৮১হিজরীতে লিখেন রমজানের তারাবিহ নামায
জামাতে ১১ রাকাত আদায় করা সুন্নত। যা স্বয়ং রাসূল (সাঃ) আদায় করেছেন। (ফাতহুল কাদির ১ম খন্ড ৪০৭পৃ এবং ২য় খন্ড ৪৪৮পৃ)
>>আব্দুল হাই হানাফি লাখনবি লিখেন ২০রাকাত জইফ সনদে বর্ণিত এবং ৮রাকাতই তারাবিহ নামাজ। (তুহফাতুল আখবার ২৮পৃ)
>>শাইখ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলবি ইন্তেকাল ১০৫২হিজরী
তিনি লিখেছেন। রাসুল স. এর পক্ষ থেকে ২০রাকাতের যে বর্ণনা এসেছে তার সনদ জইফ এব্যাপারে সকল মুহাদ্দিস একমত।
(ফাতহু সিররিল মান্নান লি তাই দিমাজহাবি নমুনা ৩২৭পৃ )
>>শাইখ ওলিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলবি রঃ ইন্তেকাল ১১৭৬ হিজরী
লিখেছেনঃ রাসুল সঃ এর স্বয়ং আমল দ্বারা তারাবিহ নামায
বিতর সহ ১১ রাকাতই প্রমানিত।।
(আল মুসাফফা শরহি মালিক মুয়াত্তা.ফার্সি. ১৭৭পৃ )
আরোও তথ্য দিচ্ছিঃ
তারাবি ৮ রাকাতে সহিহ সনদে ৮টি হাদিস
এমন কোন মায়ের বেটা নেই যে অস্বীকার করবে ৷
সত্য উন্মোচন ২০রাকাত যে মুল্লা আলি কারি
ইজমা করেছেন এর পিছনে কোন দলিল নেই ।
ইজমা কি একা বল্লেই হয়ে যায়। এটি তার
নিজস্ব মত।।।।।
২০রাকাতে আব্দুল্লাহ ইবন্ আব্বাসে ।।।
ইবন্ আবি শায়বা মুসাননাফের
হাদিসগুলোর সম্পর্কে ইমাম ইবন্ হাজার
আসকালানি রাহ. ইন্তেকাল ৮৫২ হিজরী
লিখেছেনঃ রাসুল সঃ রমজান মাসে
২০রাকাত তারাবিহ ও বিতর পড়তেন, এ
সম্পর্কে ইবন্ আবি শাইবা হজরত ইবন্ আব্বাসের
নামে যে বর্ণনা পেশ করেছেন .তার সনদ
জইফ। এছাড়া ৮রাকাতের বিরোধী হয়ে দাড়ায়।।।
(ফাতহুল বারি ৪র্থ খন্ড ৩১৯পৃ )
তারপর ৮রাকাতের সহিহ সনদে পেশ করব।
সত্য উন্মোচন বদরুদ্দিন আইনি হানাফি
রাহ.ইন্তেকাল ৮৫৫ হিজরী ২০রাকাতের
হাদিসের রাবি সহ জইফ বলেছেন,
>>ইমাম নাসাঈ রাহ,ইমাম আহমদ,
>>ইমাম মুইন,
>>ইমাম বুখারি সহ সকল মুহাদ্দিস গণ জইফ বা দুর্বল
হাদিস বলেছেন। (উমদাদুল কারি ১১খন্ড ১২৮পৃ )
>>ইমাম মিজজি রাহ. ইন্তেকাল ৭৪২হিজরী লিখেছেনঃ ২০রাকাতের
হাদিস জইফ। সকল মুহাদ্দিসের ভাষ্য হল হাদিসটা জইফ।
(তাহজিবুল কালাম,আল হাবি লিল ফাতাওয়া ১ম খন্ড ৫৩৮পৃ)
যেখানে ৮রাকাতে সহিহ ৮ঠি হাদিস রয়েছে সেখানে জইফ হাদিসের কি মূল্য......
সত্য উন্মোচন
তাবিইনদের যুগে তারাবিহ ২০রাকাতেই সীমাবদ্ধ ছিলনা।
আল্লামা বদরুদ্দিন আইনি হানাফি রাহ. তারাবিহ নামাযের
রাকাতের সংখ্যা সম্পর্কে লিখেছেনঃ
৪৭,৪১,৩৯,৩৬,৩৪, ২৮,২৪,২০,এবং ১১রাকাত তারাবিহ নামাযের উপর আমল ছিল।।
(উমদাতুল কারি৭ম খন্ড ২০৪পৃ)।।।
>>হজরত ইমাম আবু ইসা মোহাম্মদ ইমন্ ইসা তিরমিজি রাহ. জন্ম
২০৯,ইন্তেকাল ২৭৯হিজরী । তিরমিজি শরিফের ৮০৬ নম্বর হাদিসের প্রসঙ্গে
লিখেনঃ আলামগণ রমজান মাসে রাত্রের
নামায আদায়ের ব্যাপারে ভিন্নতা প্রকাশ
করেছেন। কারো মতে বিতরসহ ৪১রাকাত।
আর তা মদিনা বাসিদের বক্তব্য এবং
তাদের আমল।।। (তিরমিজি শরিফ ২৭৯পৃ,)
☛ ইসলামের শাশ্বত বাণী সবার কাছে পৌঁছে দেওয়া সকল মুসলিমের দায়িত্ব।
সুতরাং শেয়ার ও ট্যাগ করতে ভুলবেন না।
This comment has been removed by the author.
ReplyDeleteআপনার এই পোষ্টটি মডিফাই করে আমাদের একটি গ্রুপে পোষ্ট করেছি। একবার পড়ে দেখতে পারেন -
ReplyDeleteহানাফি ইমাম ও মুরব্বীগণের মতে ২০ রাকাত তারাবির হাদিসগুলি জইফ
আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী হানাফি ২০ রাকাত তারাবির সকল হাদিস জইফ বলেছেন।এবং নিশ্চয় রাসুল সঃ এর তারাবিহ ৮রাকাতই ছিল (আল আরফুশ শাজি ১ম খন্ড ১৬৬পৃ )
হিদায়ার বিখ্যাত ব্যাখ্যা গ্রন্তকার হজরত আল্লামা ইবনুল হুমাম (ইন্তিকাল ৬৮১হিজরীতে) লিখেন রমজানের তারাবিহ নামায জামাতে ১১ রাকাত আদায় করা সুন্নত, যা স্বয়ং রাসূল (সাঃ) আদায় করেছেন। (ফাতহুল কাদির ১ম খন্ড ৪০৭পৃ এবং ২য় খন্ড ৪৪৮পৃ)
আব্দুল হাই হানাফি লাখনবি লিখেন ২০রাকাত জইফ সনদে বর্ণিত এবং ৮রাকাতই তারাবিহ নামাজ। (তুহফাতুল আখবার ২৮পৃ)
শাইখ আব্দুল হক মুহাদ্দিসে দেহলবি (ইন্তেকাল ১০৫২হিজরী) লিখেছেন; রাসুল (সঃ) এর পক্ষ থেকে ২০রাকাতের যে বর্ণনা এসেছে তার সনদ জইফ এ ব্যাপারে সকল মুহাদ্দিস একমত (ফাতহু সিররিল মান্নান লি তাই দিমাজহাবি নমুনা ৩২৭পৃ )।
শাইখ ওলিউল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহলবি রঃ (ইন্তেকাল ১১৭৬ হিজরী) লিখেছেনঃ রাসুল সঃ এর স্বয়ং আমল দ্বারা তারাবিহ নামায বিতর সহ ১১ রাকাতই প্রমানিত (আল মুসাফফা শরহি মালিক মুয়াত্তা.ফার্সি. ১৭৭পৃ )।
আব্দুল্লাহ ইবন্ আব্বাসে র নামে ২০ রাকাতের জইফ হাদিস ----
ইবন্ আবি শায়বা মুসাননাফের হাদিসগুলোর সম্পর্কে ইমাম ইবন্ হাজার আসকালানি রাহ. (ইন্তেকাল ৮৫২ হিজরী) লিখেছেনঃ রাসুল (সঃ) রমজান মাসে ২০রাকাত তারাবিহ ও বিতর পড়তেন। এ সম্পর্কে ইবন্ আবি শাইবা ইবন্ আব্বাসের নামে যে বর্ণনা পেশ করেছেন তার সনদ জইফ। এছাড়া ৮রাকাতের সহিহ হাদিস বিরোধী হওয়ায় এটি পরিত্যক্ত। (ফাতহুল বারি ৪র্থ খন্ড ৩১৯পৃ )
বদরুদ্দিন আইনি হানাফি রাহ (ইন্তেকাল ৮৫৫ হিজরী) লিখছেন - ২০রাকাতের হাদিসের সনদ যারা জইফ বলেছেন তাঁরা হচ্ছেন - ইমাম নাসাঈ রাহ, ইমাম আহমদ, ইমাম মুইন, ইমাম বুখারি সহ সকল মুহাদ্দিস গণ উক্ত হাদিস জইফ বা দুর্বল বলেছেন (উমদাদুল কারি ১১খন্ড ১২৮পৃ )।
ইমাম মিজজি রাহ. (ইন্তেকাল ৭৪২হিজরী) লিখেছেনঃ ২০রাকাতের হাদিস জইফ। সকল মুহাদ্দিসের ভাষ্য হল হাদিসটা জইফ। (তাহজিবুল কালাম,আল হাবি লিল ফাতাওয়া ১ম খন্ড ৫৩৮পৃ)
যেখানে ৮রাকাতে সহিহ ৮ঠি হাদিস রয়েছে সেখানে জইফ হাদিসের কি মূল্য......
তাবিইনদের যুগে তারাবিহ ২০রাকাতেই সীমাবদ্ধ ছিলনা। আল্লামা বদরুদ্দিন আইনি হানাফি রাহ. তারাবিহ নামাযের রাকাতের সংখ্যা সম্পর্কে লিখেছেনঃ ৪৭,৪১,৩৯,৩৬,৩৪, ২৮,২৪,২০,এবং ১১রাকাত তারাবিহ নামাযের উপর আমল ছিল (উমদাতুল কারি৭ম খন্ড ২০৪পৃ)।।।
ইমাম আবু ইসা মোহাম্মদ ইবনে ইসা তিরমিজি রাহ. (জন্ম ২০৯,ইন্তেকাল ২৭৯ হিজরি) তিরমিজি শরিফের ৮০৬ নম্বর হাদিসের প্রসঙ্গে লিখেনঃ আলেমগণ রমজান মাসে রাত্রের নামায আদায়ের ব্যাপারে ভিন্নতা প্রকাশ করেছেন। কারো মতে বিতরসহ ৪১রাকাত। আর তা মদিনা বাসিদের বক্তব্য এবং তাদের আমল। (তিরমিজি শরিফ ২৭৯পৃ,)
উম্মতের ইজমা - বর্তমান জামানার হানাফি আলেম আব্দুল মতিন সাহেব তাঁর লেখা কিতাব 'দলিলসহ নামাযের মাসায়েল' কিতাবটিতে ২০ রাকাতের বেশ কিছু হাদিস জড়ো করে সে সব জইফ বলে নিজেই মত প্রকাশ করেছেন। এর পর অদ্ভুদভাবে দাবি করেছেন ২০ রাকাতের উপর উম্মতের ইজমা হয়েছ ! অথচ এখানে উল্লেখিত হানাফি মুফতি মুহাদ্দিসগণে গবেষণা এবং বক্তব্য থেকে ২০ রাকাতের উপর ইজমা হওয়ার কোন নিদর্শন পাওয়া যায় না বরং রাকায়াতের বেলায় প্রসারটা পরিলক্ষিত হয়।
সুন্নতে মুয়াক্কাদা নাকি নফল - নবী (সঃ) এর রাতের সালাত, রমজানে বা গাইরে রমজানে বিতির সহ ১১ বা ১৩ রাকায়াত, যা ৮ টি সর্বসম্মতভাবে সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। হানাফি আলেমগণ এটাকে সুন্নতে মুয়াক্কাদা বলে দাবি করলেও অন্য তিন ইমাম এবং গাইরে মুক্বাল্লিদ আলেমগণ এটাকে নফল বলে মত দিয়েছেন। সুন্নতে মুয়াক্কাদা হলে এর রাকায়াত সংখ্যা নির্দিষ্ট থাকতো কিন্তু এক্ষেত্রে রাকায়াত সংখ্যা নির্দিষ্ট করা হয় নাই। হারামাইন শরিফাইনে বর্তমানে ২০ রাকাত নির্দিষ্ট করা হলেও অন্য সব মসজিদে ১১ রাকাত পড়ানো হয়। অতএব প্রসারতা রয়েছে।
৮ রাকাতই সুন্নাহ অতিরিক্ত বিদ'আ - এটি শায়খ আলবানীর মত। তিনি ছাড়া পূর্বের অন্যান্য ইমাম, হারামাইনের সকল শায়খগণের সম্মিলিত মত হচ্ছে দীর্ঘ তিলাওয়াতের মাধ্যমে ৮ রাকায়াত আদায় করা সবচেয়ে উত্তম সুন্নাহ তবে, ১। রাকায়াতের তারতম্যের বেলায় সাহাবাগণের সময় থেকেই প্রসারতা রয়েছে ২। জামায়াত সহকারে পড়া উত্তম তবে শর্ত নয়। ৩।কোরানের হক্ব আদায় না করে ঝড়ের গতিতে তিলাওয়াত করে ওই গতিতে রুকু সিজদা করে সালাত আদায় করলে সেটা আদায়ই হবে না। তার চাইতে ঘরে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে আদায় করা উত্তম। ৪। টাকার বিনিময়ে তারাবির কোরান খতম ইসলাম অনুমোদন করে না ৫।তারাবিকে ফরজ সালাতের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া একটি বড় ফিতনা।
পোষ্টটি ধীরস্থিরভাবে পড়ে সুচিন্তিত মতামত দেবেন সেটাই প্রত্যাশিত।
মহান আল্লাহ আমাদেরকে সকল ফিতনা থেকে রক্ষা করুণ।