>>>--ই'তিকাফ--<<<
ইসমাঈল ইবনে আবদুল্লাহ রহ………আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের শেষ দশক ইতিকাফ করতেন।
অধ্যায় সহীহ বুখারী তৃতীয় খণ্ড হাদীস নং ১৮৯৮ ।
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………নবী সহধর্মিণী আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের শেষ দশক ইতিকাফ করতেন। তাঁর ওফাত পর্যন্ত এই নিয়মই ছিল। এরপর তাঁর সহধর্মিণীগণও (সে দিনগুলোতে) ইতিকাফ করতেন।
হাদীস নং ১৮৯৯ ।
ইসমাঈল রহ……….আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের মধ্যম দশকে ইতিকাফ করতেন। এক বছর এরূপ ইতিকাফ করেন, যখন একুশের রাত এল, যে রাতের সকালে তিনি তাঁর ইতিকাফ হতে বের হবেন, তখন তিনি বললেন : যারা আমার সংগে ইতিকাফ করেছে তারা যেন শেষ দশক ইতিকাফ করে। আমাকে স্বপ্নে এই রাত (লাইলাতুল কাদর) দেখানো হয়েছিল, পরে আমাকে তা (সঠিক তারিখ) ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবশ্য আমি স্বপ্নে দেখতে পেয়েছি যে, ঐ রাতের সকালে আমি কাদা-পানির মাঝে সিজদা করছি। তোমরা তা শেষ দশকে তালাশ কর এবং প্রত্যেক বেজোড় রাতে তালাশ কর। পরে এই রাতে আকাশ হতে বৃষ্টি পড়তে লাগল। একুশের রাতের সকালে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কপালে কাদা-পানির চিহ্ন আমার এ দু’চোখ দেখতে পায়।
হাদীস নং ১৯০০ ।
মুহাম্মদ ইবনুল মুসান্না রহ……….নবী সহধর্মিণী আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার দিকে তাঁর মাথা ঝুঁকিয়ে দিতেন আর আমি ঋতুবতী অবস্থায় তাঁর চুল আঁচড়িয়ে দিতাম।
হাদীস নং ১৯০১।
কুতাইবা রহ……..নবী সহধর্মিণী আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে থাকাবস্থায় আমার দিকে মাথা বাড়িয়ে দিতেন আর আমি তা আঁচড়িয়ে দিতাম এবং তিনি যখন ইতিকাফে থাকতেন তখন (প্রাকৃতিক) প্রয়োজন ছাড়া ঘরে প্রবেশ করতেন না।
হাদীস নং ১৯০২।
মুহাম্মদ ইবনে ইউসুফ রহ…….আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ঋতুবতী অবস্থায় আমার সঙ্গে কাটাতেন এবং তিনি ইতিকাফরত অবস্থায় মসজিদ হতে তাঁর মাথা বের করে দিতেন, আমি ঋতুবতী অবস্থায় তা ধুয়ে দিতাম।
হাদীস নং ১৯০৩।
মুসাদ্দাদ রহ…….ইবনে উমর রা. সূত্রে বর্ণিত যে, উমর রা. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে জিজ্ঞাসা করেন যে, আমি জাহিলিয়্যা যুগে মসজিদুল হারামে এক রাত ইতিকাফ করার মানত করেছিলাম। তিনি (উত্তরে) বললেন : তোমরা মানত পুরা কর।
হাদীস নং ১৯০৪।
আবুন নুমান রহ……..আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রমযানের শেষ দশকে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফ করতেন। আমি তাঁর তাবু তৈরী করে দিতাম। তিনি ফজরের সালাত আদায় করে তাঁতে প্রবেশ করতেন। হাফসা রা. তাবু খাটাবার জন্য আয়িশা রা.-এর কাছে অনুমতি চাইলেন। তিনি তাকে অনুমতি দিলে হাফসা রা. তাবু খাটালেন। যায়নাব বিনতে জাহাশ রা. তা দেখে আরেকটি তাবু তৈরী করলেন। সকালে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁবুগুলো দেখলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন : এগুলো কী ? তাকে জানানো হলে তিনি বললেন : তোমরা কি মনে কর এগুলো দিয়ে নেকী হাসিল হবে ? এ মাসে তিনি ইতিকাফ ত্যাগ করলেন এবং পরে শাওয়াল মাসে দশ দিন ইতিকাফ করেন।
হাদীস নং ১৯০৫।
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ……..আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফ করার ইচ্ছা করলেন। এরপর যে স্থানে ইতিকাফ করার ইচ্ছা করেছিলেন সেখানে এসে কয়েকটি তাবু দেখতে পেলেন। আয়িশা রা. , হাফসা রা. ও যায়বান রা.-এর তাবু। তখন তিনি বললেন : তোমরা কি এগুলো দিয়ে নেকী হাসিলের ধারণা কর ? এরপর তিনি চলে গেলেন আর ইতিকাফ করলেন না । পরে শাওয়াল মাসে দশ দিনের ইতিকাফ করলেন।
হাদীস নং ১৯০৬।
ইসমাঈল ইবনে আবদুল্লাহ রহ………আবদুল্লাহ ইবনে উমর রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের শেষ দশক ইতিকাফ করতেন।
অধ্যায় সহীহ বুখারী তৃতীয় খণ্ড হাদীস নং ১৮৯৮ ।
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ………নবী সহধর্মিণী আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের শেষ দশক ইতিকাফ করতেন। তাঁর ওফাত পর্যন্ত এই নিয়মই ছিল। এরপর তাঁর সহধর্মিণীগণও (সে দিনগুলোতে) ইতিকাফ করতেন।
হাদীস নং ১৮৯৯ ।
ইসমাঈল রহ……….আবু সাঈদ খুদরী রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযানের মধ্যম দশকে ইতিকাফ করতেন। এক বছর এরূপ ইতিকাফ করেন, যখন একুশের রাত এল, যে রাতের সকালে তিনি তাঁর ইতিকাফ হতে বের হবেন, তখন তিনি বললেন : যারা আমার সংগে ইতিকাফ করেছে তারা যেন শেষ দশক ইতিকাফ করে। আমাকে স্বপ্নে এই রাত (লাইলাতুল কাদর) দেখানো হয়েছিল, পরে আমাকে তা (সঠিক তারিখ) ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অবশ্য আমি স্বপ্নে দেখতে পেয়েছি যে, ঐ রাতের সকালে আমি কাদা-পানির মাঝে সিজদা করছি। তোমরা তা শেষ দশকে তালাশ কর এবং প্রত্যেক বেজোড় রাতে তালাশ কর। পরে এই রাতে আকাশ হতে বৃষ্টি পড়তে লাগল। একুশের রাতের সকালে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কপালে কাদা-পানির চিহ্ন আমার এ দু’চোখ দেখতে পায়।
হাদীস নং ১৯০০ ।
মুহাম্মদ ইবনুল মুসান্না রহ……….নবী সহধর্মিণী আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, মসজিদে ইতিকাফরত অবস্থায় নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার দিকে তাঁর মাথা ঝুঁকিয়ে দিতেন আর আমি ঋতুবতী অবস্থায় তাঁর চুল আঁচড়িয়ে দিতাম।
হাদীস নং ১৯০১।
কুতাইবা রহ……..নবী সহধর্মিণী আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে থাকাবস্থায় আমার দিকে মাথা বাড়িয়ে দিতেন আর আমি তা আঁচড়িয়ে দিতাম এবং তিনি যখন ইতিকাফে থাকতেন তখন (প্রাকৃতিক) প্রয়োজন ছাড়া ঘরে প্রবেশ করতেন না।
হাদীস নং ১৯০২।
মুহাম্মদ ইবনে ইউসুফ রহ…….আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ঋতুবতী অবস্থায় আমার সঙ্গে কাটাতেন এবং তিনি ইতিকাফরত অবস্থায় মসজিদ হতে তাঁর মাথা বের করে দিতেন, আমি ঋতুবতী অবস্থায় তা ধুয়ে দিতাম।
হাদীস নং ১৯০৩।
মুসাদ্দাদ রহ…….ইবনে উমর রা. সূত্রে বর্ণিত যে, উমর রা. নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -কে জিজ্ঞাসা করেন যে, আমি জাহিলিয়্যা যুগে মসজিদুল হারামে এক রাত ইতিকাফ করার মানত করেছিলাম। তিনি (উত্তরে) বললেন : তোমরা মানত পুরা কর।
হাদীস নং ১৯০৪।
আবুন নুমান রহ……..আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রমযানের শেষ দশকে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফ করতেন। আমি তাঁর তাবু তৈরী করে দিতাম। তিনি ফজরের সালাত আদায় করে তাঁতে প্রবেশ করতেন। হাফসা রা. তাবু খাটাবার জন্য আয়িশা রা.-এর কাছে অনুমতি চাইলেন। তিনি তাকে অনুমতি দিলে হাফসা রা. তাবু খাটালেন। যায়নাব বিনতে জাহাশ রা. তা দেখে আরেকটি তাবু তৈরী করলেন। সকালে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁবুগুলো দেখলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন : এগুলো কী ? তাকে জানানো হলে তিনি বললেন : তোমরা কি মনে কর এগুলো দিয়ে নেকী হাসিল হবে ? এ মাসে তিনি ইতিকাফ ত্যাগ করলেন এবং পরে শাওয়াল মাসে দশ দিন ইতিকাফ করেন।
হাদীস নং ১৯০৫।
আবদুল্লাহ ইবনে ইউসুফ রহ……..আয়িশা রা. থেকে বর্ণিত যে, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইতিকাফ করার ইচ্ছা করলেন। এরপর যে স্থানে ইতিকাফ করার ইচ্ছা করেছিলেন সেখানে এসে কয়েকটি তাবু দেখতে পেলেন। আয়িশা রা. , হাফসা রা. ও যায়বান রা.-এর তাবু। তখন তিনি বললেন : তোমরা কি এগুলো দিয়ে নেকী হাসিলের ধারণা কর ? এরপর তিনি চলে গেলেন আর ইতিকাফ করলেন না । পরে শাওয়াল মাসে দশ দিনের ইতিকাফ করলেন।
হাদীস নং ১৯০৬।
No comments:
Post a Comment