গর্দভের ডাক প্রকাশ পেয়ে গেছে !
প্রসঙ্গঃ আ.গা.চৌ.(আব্দুল গাফফার চৌধুরি)'র ভণ্ডামি !
ছোটকাল থেকেই ঐ লোকটির নাম শুনে এসেছি ! 'দৈনিক জনকণ্ঠে' উনার নিয়মিত লেখা দেখতাম। সেই সুবাদে তাঁকে কলামিস্ট হিসেবেই জানতাম ! কিন্তু, আজকে জানলাম ঘোড়া আর গাধা দেখতে একই রকম হলেও তাঁদের ডাকের ধ্বনিতেই বুঝা যায় কোনটা ঘোড়া আর কোনটা গাধা ! আগাচৌ সাহেব যে একজন ভালো ইসলাম বিদ্বেষী এবং নাস্তিক লোক তা তার সাম্প্রতি উদ্ভট এক বক্তিতার মাধ্যমে তা প্রকাশ পেয়েছে। তিনি সাম্প্রতি লন্ডনে এক সেমিনারে বললেন, আল্লাহ্র ৯৯ টি নাম ছিল কাফের দের ব্যবহার করা নামই ! যা পরে ইসলাম এসে তা কুঁড়িয়ে নিয়েছে ! আর উদাহরণ হিসেবে তিনি বললেন, আর-রাহমান/ আল -কাহহার/আল- গাফফার ইত্যাদি সবই সে সময়ে নাকি কাফের রা ব্যবহার করতো !
আমি বেশী না একটিমাত্র উদাহরণ দিয়েই উনার মত নাস্তিক সেকুলার এবং ইসলাম বিদ্বেষীর বস্তা পচা মস্তিষ্কের নমুনা তুলে ধরবো !
রাসুলুল্লাহ সাল্লালাহু আলাহি ওয়াসাল্লাম যখন 'হুদাইবিয়ার সন্ধি' করলেন মাক্কার কাফের দের সাথে তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়াসাল্লাম আলী ইবনে আবু তালিবকে (রা) ডেকে বললেন চুক্তি পত্রের শুরুতে “লেখ, বিসমিল্লাহির 'রাহমানির' রাহীম।” এই 'রাহমান' লেখা দেখে কাফির দের পক্ষ থেকে চুক্তিতে স্বাক্ষর কারী সুহাইল বললো, কে এই রাহমান ? “এটা আমাদের অজানা কথা।'' রাহমান নাম টি কেটে দিতে হবে শুধু ''বিসমিল্লাহ্' নামটি রাখো কারন আমরা আল্লাহ্ নামটি তো জানি !
তো, দেখুন আল্লাহ্র একটি নাম আর-''রাহমান'' মানে পরম দয়ালু, সৃষ্টির সকলের প্রতি ব্যাপক ও প্রশস্ত দয়ার অর্থবোধক একটি নাম। যা কাফের রাও জানতো না ! আর এ মিয়াঁ বলছে আল্লাহ্র সকল নাম গুলো নাকি কাফেরদের থেকে ধার করা কুঁড়িয়ে নেওয়া ! তাই তো আল্লাহপাক কুরানে কারীমে বলেন, " قِيلَ لَهُمُ اسْجُدُوا لِلرَّحْمَنِ قَالُوا وَمَا الرَّحْمَنُ?
তাদেরকে যখন বলা হয়, 'রাহমান' সেজদা কর, তখন তারা (কাফেরেরা) বলে, 'রাহমান' আবার কে? [ সূরা-আল ফুরকান-৬০]"
মানে কি দাড়ালো! এই নামটির বেপ্যারে কাফেরেরা ও অয়াকিবহাল ছিল না!
এতো মাত্র একটি উদাহরণ দিলাম ! আগাচৌ দের মতো ইসলাম বিদ্বেষী সেকুলার নাস্তিকদের বিদ্যা বুদ্ধির ব্যাপারে শুধু একটি টাচ করে গেলাম !
এদের কে মূলত কাফির রা তাঁদের দেশে নিয়ে গিয়ে তাঁদের দেশের নাগরিকত্ব দিয়ে তাঁদের কথাই এই সকল নাম সর্বশ মুসলিম দের মুখ দিয়ে কলম দিয়ে মুসলিম সমাজে প্রচার করে ! কারন কাফির রা তো মুসলিমদের প্রকাশ্য শ্ত্রু তাঁরা বললে তো আর মুসলিম রা পাত্তা দিবে না ! কিন্তু মুসলিম সমাজের ভিতরে ঘাপটি মেরে থাকা এই সব নামধারী মুসলিম আগাচৌ দের দিয়ে বলালে কাজ হবে !
বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ২৯৫ (ক) ধারায় অন্যের ধর্ম বিশ্বাসের অবমাননা ও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিতে বিদ্বেষমূলক কোনো কাজ করলে দুই বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানার বিধান রয়েছে।
আর দণ্ডবিধির ২৯৮ ধারায় বলা হয়েছে, ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে বিদ্বেষমূলক শব্দ উচ্চারণ করলে এক বছর পর্যন্ত জেল ও জরিমানা হতে পারে।
দণ্ডবিধির এই ধারাগুলো সম্পর্কে জনাব আগাচৌ হয়তো অবগত নন। আর হলেও বা কি ! আ গা চৌ এর বেলায় এই আইনের প্রয়োগ চলবে কি?উনার খুটির জোর যে অন্যখানে।
একে তো আওয়ামী সরকারের একনিষ্ঠ দালাল ! তারওপরে, বৃটিশ নাগরিক ! তাই বাংলাদেশ দন্ড বিধি জানা থাকলেও ভয় নাই এই বেটার !
আল্লাহপাক আমাদের এই সকল বুদ্ধিজীবী নামক বুদ্ধি-প্রতিবন্ধী দের সকল কূটচাল থেকে হেফাত করুক, আমীন।
No comments:
Post a Comment