Tuesday, July 7, 2015

স্বামীর যেসব গুণাবলীর কারণে স্ত্রীরা তাদের ভালোবাসেন

     

          স্বামীর যেসব গুণাবলীর কারণে স্ত্রীরা তাদের ভালোবাসেন

 

 একটা মেয়ে যখন বিবাহ নামক আল্লাহ্‌র বিধান মানার মাধ্যমে তাঁর পরিচিত গণ্ডি ছেরে ভিন্ন একটা পরিবেশ ভিন্ন একটা পরিবার অপরিচিত সব মানুষদের মাঝে এসে বসবাস করা শুরু করে আর  তখন  এ অপরিচিত সবার মাঝ থেকে  একজন মানুষ হয়ে উঠে তাঁর সবচেয়ে আপন তিনি হচ্ছেন তাঁর স্বামী ।

একজন নারীর কাছে তাঁর স্বামী তাঁর সবচেয়ে আপন জন। তাঁর  সুখ-দুঃখের সাথী । নিজের মনের মতো একজন স্বামী পাওয়া একটা নারীর জীবনে আল্লাহ্‌র পক্ষ থেকে তাঁর জন্য এক বিশেষ নিয়ামত । আর একজন পুরুষ তখনই ভালো যখন যে তার স্ত্রীর কাছে ভালো। একজন পুরুষ  তার স্ত্রীর কাছে তাঁর মনের মতো  ভালো স্বামী হতে পারেন নানান উপায়ে   ।
স্ত্রীর কাছে স্বামীরা যেসব গুণাবলীর কারণে ভালো হয় তার মাঝে উল্লেখযোগ্য কিছু গুণ হলো:
১) স্ত্রীর প্রতি তিনি সুন্দর ব্যবহার করেন। উত্তম শব্দ ব্যবহার করে কথা বলেন। তার প্রতি তিনি নম্র ও দয়ার্দ্র থাকেন।
২) জীবনসঙ্গিনীর প্রয়োজনের বিষয়গুলো তিনি অবহেলা করেন না, তা পরিপূর্ণভাবে পূরণ করতে চেষ্টা করেন।
৩) বাইরে নানান কাজে থাকলেও মাঝে মাঝে অল্প সময়ের জন্য হলেও ফোন করে তাঁর সময় কাটানোর   ব্যপারে   খোঁজ- খবর নেন  ।
৪) অন্য কোন মহিলার ব্যাপারে তিনি আগ্রহী হন না। দৃষ্টিকে সংযত রাখেন, হৃদয়েকেও অত্যন্ত সচেতনভাবে সতর্ক রাখেন।
৫) নিজে ইসলাম শিখেন নিয়মিত, স্ত্রীকে নিয়ে শিখেন এবং তাকে উৎসাহিত করেন। দু’জনে মিলে ইসলামকে পালনের চেষ্টা করেন।
৬) জীবনসঙ্গিনী যখন খারাপ সময়ের মধ্য দিয়ে যায়, তিনি শক্ত অবলম্বন হয়ে তার পাশে থাকেন।
৭) যদি তার স্ত্রী কখনো তাকে কষ্ট বা আঘাত দিয়ে ফেলে, তিনি নিজেকে শান্ত রাখেন। খেপে যান না কেননা তিনি ধরেই নেন স্ত্রী হয়ত তাকে ইচ্ছাকৃতভাবে কষ্ট দিতে চাননি, অসতর্কতায় এমনটি হয়ে গেছে।
৮) জীবনসঙ্গিনীর ছোট ছোট ভুলগুলো তিনি এড়িয়ে যান এবং তার ভালো কাজগুলোকে উৎসাহিত করেন। তার পরিশ্রমের কাজগুলোর ব্যাপারে প্রশংসা করেন।
৯) ঘরের কাজগুলোতে স্ত্রীকে সাধ্যমতন সাহায্য করেন। তার জন্য কাজ ফেলে রেখে দেন না।
১০) সন্তানদেরকে ইসলামিক জ্ঞানে এবং আচরণে বড় করার ব্যাপারে সচেতন থাকেন। সন্তানদের ইসলামিকভাবে বড় করা নিয়ে চিন্তাভাবনা করে আলাপ করে স্ত্রীর সাথে। বাবা-মায়ের আচরণ সন্তানদের প্রভাবিত করে, তাই বাবা-মায়েরা নিজেরাও সচেতন থাকেন নিজেদের ব্যক্তিগত  স্বভাব এবং আচরণ নিয়ে।
১১)  কখনো মনোমালিন্য হলেও আত্মকেন্দ্রিকতা ভুলে নিজেই এগিয়ে যান স্ত্রীর মান ভাঙ্গাতে । একজন নারী সব সময়ই চান তাঁর সবচেয়ে আপন মানুষটা তাঁর অভিমান টাকে বুঝুক ।
১২)  বাইরে যাবার প্রয়োজন হলে সবসময় তাকে সঙ্গ দেন। মাঝে-মাঝেই দু’জনে মিলে ঘুরতে যান যেন স্ত্রী কিছুটা সময় তার সঙ্গ পেয়ে আনন্দিত হয় যা তাদের সম্পর্ককে প্রগাঢ় করবে।
সংগৃহীত

No comments:

Post a Comment