এবারের 'ফিতরা' কত ?
::::::::::::::::::::::::::::::::::
৬০ টাকা থেকে ১৬৬০ টাকা ? নাকি অন্য কিছু !
প্রতিবারই রামাদান এলে মানুষের প্রশ্ন থাকে এবারের ফিতরা কত? যেন এটা
প্রতিবছর নির্ধারন করার বিষয়! অথচ আল্লাহ্র রাসুল (সাঃ) ১৪০০ বছর আগেই এর
পরিমান নির্ধারণ করে গেছেন !
যারা সুন্নাহর অনুসরন করে ফিতরা আদায় করে থাকেন তাঁরা কখনো উক্ত প্রশ্নটি তুলেন না যে এবারের ফিতরা কত টাকা! যারা ফিতরা আদায়ের প্রকৃত সুন্নাহ জানেন না এবং সুন্নাহর অনুসরন বাদ দিয়ে দ্রব্য মূল্য দিয়ে তথা টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করেন তারাই মূলত প্রতিবছর এই সময় এলেই প্রশ্ন করেন এবারের ফিতরা কত টাকা দিতে হবে!
ছাদাক্বাতুল ফিতর বা আমরা যেটিকে ফিতরা বলি তা, মুসলমান নারী-পুরুষ, ছোট-বড়, সকলের জন্য আদায় করা ফরয। এ মর্মে হাদীছে এসেছে,
ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্বীয় উম্মতের ক্রীতদাস ও স্বাধীন, নারী ও পুরুষ, ছোট ও বড় সকলের উপর মাথা পিছু এক ছা’ পরিমাণ খেজুর বা যব যাকাতুল ফিৎর হিসাবে ফরয করেছেন এবং তা ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পূর্বেই আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন’।{ বুখারী-মুসলিম, মিশকাত হা/১৮১৫}
আামাদেরকে মনে রাখতে হবে, রাসুল সাঃ এর জীবদ্দশায় দ্বীন ইসলাম পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। এর প্রমান সুরা মা’য়িদা এর ৩য় আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন বলেন, ‘‘আজ আমি তোমাদের জন্য দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামাত সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসাবে পছন্দ করলাম।” আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ এবং এর মধ্যে পালনীয় যাবতীয় বিধি বিধানও পূর্ণাঙ্গ। কোন ইবাদাত তা ফরজ, সুন্নাত বা নফল হউক না কেন, তার ধরনে পরিবর্তন আনার কোন সুযোগ নেই।
উক্ত হাদিছ ও কুরআনের আয়াতের দ্বারা বুঝা যাচ্ছে, ফিতরা আদায় করতে হবে খাদ্যদ্রব্য দ্বারা, খাদ্যের মূল্য বা টাকা পয়সা নগত অর্থ ফিতরা গ্রহণকারীর হাতে সরাসরি উঠিয়ে দিয়ে নয়! আর তা আদায় করতে হবে প্রত্যেকের জন্য মাথাপিছু এক ছা’ খাদ্যশস্য , ‘ছা’ হচ্ছে তৎকালীন সময়ের এক ধরনের ওযন করার পাত্র। নবী করীম (ছাঃ)-এর যুগের ছা হিসাবে এক ছা-তে সবচেয়ে ভাল গম ২ কেজি ৪০ গ্রাম হয়। বিভিন্ন দ্রব্যের নিজস্য ওজনের ভিত্তিতে ছা এর ওযন বিভিন্ন হয়। এক ছা চাউল প্রায় ২ কেজি ৫০০ গ্রাম হয়। তবে ওযন হিসাবে এক ছা গম, যব, ভুট্টা, খেজুর ইত্যাদি ২ কেজি ২২৫ গ্রামের কিছু এদিক সেদিক হয়ে থাকে। সতর্কতা হিসেবে অনেকে ৩ কেজি নির্ধারন করলে ভালো হয়।
প্রত্যেক দেশের প্রধান খাদ্য দিয়ে ফিৎরা আদায় করবে। মানে যে দেশের মানুষের যেটা প্রধান খাদ্যদ্রব্য সেটা দিয়েই ফিতরা আদায় করবে। আমাদের এই কৃষি প্রধান দেশে প্রধান খাদ্য (طعام) চাউল। সেকারনে চাউল দিয়ে ছাদাক্বাতুল ফিতর আদায় করাই উত্তম। খাদ্যশস্যের মূল্য দিয়ে ছাদাক্বাতুল ফিতর প্রদানের স্বপক্ষে কুরআন-হাদীছে স্পষ্ট কোন দলীল নেই। সুতরাং মুদ্রা দিয়ে ফিৎরা আদায় করা সুন্নাহর বিরোধী কাজ।
খাদ্যশস্য ব্যতীত অর্থ কিংবা দীনার-দিরহাম দিয়ে ফিৎরা আদায় করেছেন মর্মে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ), ছাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈ ও তাবে-তাবেঈদের কোন আমল পাওয়া যায় না। তাছাড়াও রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর পূর্ব যুগ হতেই মক্কা-মদীনায় দিরহাম-দীনার প্রভৃতি মুদ্রার প্রচলন ছিল। কিন্তু তিনি এক ছা খাদ্যশস্যের মূল্য হিসাবে দিরহাম প্রদানের নির্দেশ দেননি। বরং খাদ্যশস্য দিয়ে ছাদাক্বাতুল ফিতর আদায় ওয়াজিব করেছেন।
আসুন আমরা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর আদর্শ অনুসরণ করি।
যারা সুন্নাহর অনুসরন করে ফিতরা আদায় করে থাকেন তাঁরা কখনো উক্ত প্রশ্নটি তুলেন না যে এবারের ফিতরা কত টাকা! যারা ফিতরা আদায়ের প্রকৃত সুন্নাহ জানেন না এবং সুন্নাহর অনুসরন বাদ দিয়ে দ্রব্য মূল্য দিয়ে তথা টাকা দিয়ে ফিতরা আদায় করেন তারাই মূলত প্রতিবছর এই সময় এলেই প্রশ্ন করেন এবারের ফিতরা কত টাকা দিতে হবে!
ছাদাক্বাতুল ফিতর বা আমরা যেটিকে ফিতরা বলি তা, মুসলমান নারী-পুরুষ, ছোট-বড়, সকলের জন্য আদায় করা ফরয। এ মর্মে হাদীছে এসেছে,
ইবনে ওমর (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্বীয় উম্মতের ক্রীতদাস ও স্বাধীন, নারী ও পুরুষ, ছোট ও বড় সকলের উপর মাথা পিছু এক ছা’ পরিমাণ খেজুর বা যব যাকাতুল ফিৎর হিসাবে ফরয করেছেন এবং তা ঈদগাহের উদ্দেশ্যে বের হওয়ার পূর্বেই আদায় করার নির্দেশ দিয়েছেন’।{ বুখারী-মুসলিম, মিশকাত হা/১৮১৫}
আামাদেরকে মনে রাখতে হবে, রাসুল সাঃ এর জীবদ্দশায় দ্বীন ইসলাম পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। এর প্রমান সুরা মা’য়িদা এর ৩য় আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীন বলেন, ‘‘আজ আমি তোমাদের জন্য দ্বীনকে পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার নিয়ামাত সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের দ্বীন হিসাবে পছন্দ করলাম।” আলহামদুলিল্লাহ, আমাদের দ্বীন পূর্ণাঙ্গ এবং এর মধ্যে পালনীয় যাবতীয় বিধি বিধানও পূর্ণাঙ্গ। কোন ইবাদাত তা ফরজ, সুন্নাত বা নফল হউক না কেন, তার ধরনে পরিবর্তন আনার কোন সুযোগ নেই।
উক্ত হাদিছ ও কুরআনের আয়াতের দ্বারা বুঝা যাচ্ছে, ফিতরা আদায় করতে হবে খাদ্যদ্রব্য দ্বারা, খাদ্যের মূল্য বা টাকা পয়সা নগত অর্থ ফিতরা গ্রহণকারীর হাতে সরাসরি উঠিয়ে দিয়ে নয়! আর তা আদায় করতে হবে প্রত্যেকের জন্য মাথাপিছু এক ছা’ খাদ্যশস্য , ‘ছা’ হচ্ছে তৎকালীন সময়ের এক ধরনের ওযন করার পাত্র। নবী করীম (ছাঃ)-এর যুগের ছা হিসাবে এক ছা-তে সবচেয়ে ভাল গম ২ কেজি ৪০ গ্রাম হয়। বিভিন্ন দ্রব্যের নিজস্য ওজনের ভিত্তিতে ছা এর ওযন বিভিন্ন হয়। এক ছা চাউল প্রায় ২ কেজি ৫০০ গ্রাম হয়। তবে ওযন হিসাবে এক ছা গম, যব, ভুট্টা, খেজুর ইত্যাদি ২ কেজি ২২৫ গ্রামের কিছু এদিক সেদিক হয়ে থাকে। সতর্কতা হিসেবে অনেকে ৩ কেজি নির্ধারন করলে ভালো হয়।
প্রত্যেক দেশের প্রধান খাদ্য দিয়ে ফিৎরা আদায় করবে। মানে যে দেশের মানুষের যেটা প্রধান খাদ্যদ্রব্য সেটা দিয়েই ফিতরা আদায় করবে। আমাদের এই কৃষি প্রধান দেশে প্রধান খাদ্য (طعام) চাউল। সেকারনে চাউল দিয়ে ছাদাক্বাতুল ফিতর আদায় করাই উত্তম। খাদ্যশস্যের মূল্য দিয়ে ছাদাক্বাতুল ফিতর প্রদানের স্বপক্ষে কুরআন-হাদীছে স্পষ্ট কোন দলীল নেই। সুতরাং মুদ্রা দিয়ে ফিৎরা আদায় করা সুন্নাহর বিরোধী কাজ।
খাদ্যশস্য ব্যতীত অর্থ কিংবা দীনার-দিরহাম দিয়ে ফিৎরা আদায় করেছেন মর্মে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ), ছাহাবায়ে কেরাম, তাবেঈ ও তাবে-তাবেঈদের কোন আমল পাওয়া যায় না। তাছাড়াও রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর পূর্ব যুগ হতেই মক্কা-মদীনায় দিরহাম-দীনার প্রভৃতি মুদ্রার প্রচলন ছিল। কিন্তু তিনি এক ছা খাদ্যশস্যের মূল্য হিসাবে দিরহাম প্রদানের নির্দেশ দেননি। বরং খাদ্যশস্য দিয়ে ছাদাক্বাতুল ফিতর আদায় ওয়াজিব করেছেন।
আসুন আমরা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম এর আদর্শ অনুসরণ করি।
No comments:
Post a Comment