যে সকল প্রাণীর ওপর যাকাত ফরয হয়
উট, গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ এই পশুগুলোর উপর যাকাত ফরয হবে যদি নিসাব পরিমাণ হয়। যদি এ সকল প্রাণী ‘সায়েমা’ হয় তথা মাঠে চরে চষে খায় এবং এগুলোকে বংশ বৃদ্ধির জন্য পালন করা হয় এবং তা নিসাব পরিমাণ হয়, তাহলে এদের যাকাত দিতে হবে। উটের নিসাব ন্যূনতম ৫টি, গরুর ৩০টি, আর ছাগলের ৪০টি। অর্থাৎ এর কমে থাকলে যাকাত দিতে হবে না।
উটের যাকাতের নিসাবঃ
৪টা পর্যন্ত উট থাকলে কোন যাকাত নেই। ৫-৯টি উটের জন্য ১টি ছাগি দিতে হবে।
১০-১৪টি উটের জন্য ২টি ছাগি দিতে হবে।
১৫-১৯টি উটের জন্য ৩টি ছাগি দিতে হবে।
গরু ও মহিষের যাকাতের নিসাবঃ
২৯ টি পর্যন্ত যাকাত নেই। ৩০-৩৯টির জন্য ১বছরের ১টি গরু বা মহিসের বাচ্চা দিতে হবে।
৪০-৫৯ টির জন্য ১টি ২বছরের বাছুর দিতে হবে।
ছাগল ও ভেরার জাকাতের নিসাবঃ
৩৯টা পর্যন্ত যাকাত নেই। ৪০-১২০টার জন্য ১টি ছাগল বা ভেড়া দিতে হবে।
১২১-২৮০টার জন্য ২টি ছাগল বা ভেড়া দিতে হবে।
‘সায়েমা’ ওই সকল প্রাণীকে বলে, যেগুলো সারা বছর বা বছরের অধিকাংশ সময় চারণভূমিতে ঘাস খেয়ে বেড়ায়। যদি এসব প্রাণী সায়েমা না হয়, তবে এর ওপর যাকাত ফরয নয়। অর্থাৎ যদি পশুগুলো সারা বছর বা বছরের অধিকাংশ সময় মাঠে-ঘাটে ঘাস খেয়ে বেড়ায় তাহলেই কেবল উপরের নিয়ম অনুযায়ী যাকাত দিতে হবে নইলে দিতে হবে না কিন্তু আবার যদি এগুলো দ্বারা টাকা-পয়সা কামাই করার উদ্দেশ্য থাকে; যেমন লাভ করার উদ্দেশে খামার করা, বেচা-কেনা, স্থানান্তর ইত্যাদির মাধ্যমে টাকা-পয়সা আয় করা, তাহলে তা ব্যবসায়িক পণ্য হিসেবে বিবেচিত হবে; আর তখন সেগুলো সায়েমা কিংবা মা‘লুফাহ (যাকে ঘাস কেটে খাওয়ানো হয়) যা-ই হোক না কেন তাতে ব্যবসায়িক পণ্যের যাকাত আসবে; যদি তা স্বয়ং নিসাব পরিমাণ হয় অথবা এসবের মূল্য অন্য ব্যবসায়িক সম্পদের সঙ্গে যুক্ত করলে নিসাব পরিমাণ হয়।
No comments:
Post a Comment