আজকের Topic খাজার সিন্নি কেন শিরক?
আসসালামু ও'আলাইকুম
যারা এই শিরক করে থাকে তারা এটা নিজেরাই জানেনা এর উতপত্তি কোথাথেকে।
তারা এই বিদাত কেন করে? আসুন তাহলে জানি এটা কেন করে।।।
এ এমন একটা বিদাত যা বড় শিরকে লিপ্ত হয়েছে,এমন এমন কর্মকান্ড করে থাকে তারা যা ইসলাম সমর্থন করে না।
না ইসলাম এর অনুমুতি দিয়েছে না করতে বলছে।
যাদের আমার কথা খারাপ লাগবে তারা জাচাই করবেন কুর'আন আর সহী হাদীস দিয়ে।
এবার আসি মুল বক্তব্যে,
প্রথমত তারা এটা প্রতি বছর করে থাকে কারন তারা মনে করে প্রতি বছর তার চিসতিয়া বাবার নামে সিন্নি না করলে তাদের বড়ধরনের কোন খতি হবে, আর তাদের এই বাপ নাকি তাদের ইচ্ছা পুরন করতে পারে তাই তারা প্রতি বছর এই শিরক করে থাকে।
তারা এটাকে শিরক মনে করে না,তারা এই শিরক কে ইবাদত মনে করে। তাইতো তারা প্রতি বছর করে থাকে।
আচ্ছা আল্লাহ বা তার রাসুল সাঃ বা সাহাবি বা তাদের মাজহাব এর ইমাম কি বলছে কোন মৃত ব্যক্তির নামে এই কুকর্ম করতে???
আচ্ছা এটা যদি ইবাদতি হত তাহলে আল্লাহ ও তার রাসুল সাঃ কেন বল্লনা?
বলেনি এই কারনে কারন এটা কোন ইবাদতি না।
এই খাজা নামে যত কুকর্ম করা হয় তা সব জীন সয়তানের জন্য।
আপনাকে মনে করিয়ে দেই,
আল্লাহ ছারা অন্যের সন্তুস্টি অর্জন করার ইবাদতের নাম শিরক।
যাই হোক এখন আসি এই বিদাত কি করে বড় শিরক হল?
তারা তার এই বাপের জন্য প্রতি বছর খাবারের আয়োজন করে তার মানে একটা বড় পাতিলা সেটাকে ড্রেগ অথবা ডেগ বলা হয়,আমরা ডেগ ই বলি। যাই হোক সেটার ভিতর বিরানি রান্না করা হয়। রান্নার শেষে তাদের বাসায় সেই ডেগ নিয়াসা হয়। তারপর সেই ডেগের উপর লাল একটা কাপর দেয়া হয়,আবার কাপরের উপর ফুলের মালা দেয়া হয় আর ভিবিন্ন রকম ফুল দিয়ে গোলাপ জল ছিটান হয়।এই হল শিরকের আস্তানা রেডি।
তারপর তার পীরের বাপেরা আর ভায়েরা এসে মিলাদ পরে যার ভিত্তি ইসলামেই নেই।
আপনাকে মনে করিয়ে দেই এই মিলাদ না আল্লাহ্র রাসুল সাঃ পরেছে না সাহাবি না তার পরের যুগের আলেম তাবেঈ না তার পরের যুগের আলেম তাবা তাবেইন। তার মানে এই মিলাদ কোন ইবাদত না এটা বিদাত, আর এই বিদাতের কি পরিনিতি তা আপনাকে দেখাচ্ছি।
বিদ‘আতীদের পরিণতি অত্যন্ত
ভয়াবহ হবে। যেমন-
আল্লাহ
বলেন,
‘আপনি বলে দিন,
আমি কি তোমাদেরকে ক্ষতিগ্রস্ত
আমলকারীদের
সম্পর্কে জানিয়ে দিব?
(দুনিয়াবী জীবনে) যাদের
সমস্ত আমল বরবাদ হয়ে গেছে। অথচ
তারা ভাবে যে, তারা সুন্দর
আমলই করে যাচ্ছে’ (কাহফ
১০৩-৪)।
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
‘তোমরা দ্বীনের মধ্যে নতুন সৃষ্টি করা হ’তে বিরত থাক।
নিশ্চয় প্রত্যেক নতুন সৃষ্টিই
বিদ‘আত ও প্রত্যেক বিদ‘আতই
গোমরাহী (আহমাদ, আবুদাঊদ,
তিরমিযী, মিশকাত
হা/১৬৫)।
নাসাঈ-র বর্ণনায় এসেছে,
‘প্রত্যেক গোমরাহীর পরিণাম
জাহান্নাম’ (নাসাঈ
হা/১৫৭৮)। বিদ‘আতীর আমল
কবুল হয়
না (বুখারী হা/৩১৮০)।
সে হাউয কাওছারের
পানি পান করা হ’তে বঞ্চিত
হবে (মুসলিম হা/৪২৪৩)।
বিদ‘আতীর উপর আল্লাহ
এবং ফেরেশতা ও সকল
মানুষের লা‘নত বর্ষিত হয় (বুখারী হা/৩১৮০)।
তাহলে কিসের ভিত্তিতে এই মিলাদ পরছেন?
এই মিলাদ চালু করেছিল বাগদাদের এক সিয়া যা এই সুন্নি নামের মুশরিক রা এখন এটাকে ইবাদত মনে করে পালন করে।
যাইহোক বিদাত তো কোরলোই এখন দেখেন এই বাদাত শিরক কি করে হয়।
'
মিলাদ শেষে সেই ডেগের পাতিলাকে গোলাপজল ছিটানো হয়।
তারপর সেই পাতিলার উপর টাকা দেয় ফুলের মাঝখানে যার যা ইচ্ছা এটা হল তার মরা বাপের নাজরানা মানে পীর সাহেবের নাজরানা, তারপর পাতিলাকে দু হাত দিয়ে ধরে তার মরা বাপের উছিলায় তারা নিয়ত করে তার এই ইচ্ছা পুরন হলে সেই পাতিলাটা ঘুরবে। তাহলে এটা কি শিরকের অন্তর্ভুক্ত নয়??? মুশরিক দের চিনতা করতে বলছি ইসলামিক পড়াশুনা কেন করছেন না? আপনি জানেন্না কোন আমল করার পুর্বে জ্ঞ্যান অর্জন করা আবশ্যক??
এবার আসি এই পাতিলাটা কেন ঘুরে আর কে ঘুরায়?
আপনারা জানেন ইবলিস সয়তান ছিল জীন আর এই জীন নামক সয়তান মুসলিম কে কি ভাবে মুসরিক বানাবে সেই পরিকল্পনা তার সারাক্ষন থাকে।
আর এই জীনেই সেই পাতিলাটা ঘুরায়। আর আপনারা লক্ষ্য করবেন তাদের এই পাতিলা ঘুরানোর অনুস্থান শেষ হলে কোন মহিলার উপর জীন ভর করেছে,,,,, আর তখনি সাধারন মানুষ সেই জীনের কাছে তার ইচ্ছার আবেদন করে,আর এই হল বড় শিরক যা অনেক মুসলিমদের ঘরে ঘরে প্রচলন হয়ে মুশরিক হচ্ছে।
ফযরের সালাতের খবর নাই কিন্তু মিলাদ পরবই।
শিরকের গুনাহ আল্লাহ ক্ষমা করে না।
আপনি কালিমা শাহাদাত পড়ে মুখে ফেনা তুলে ফেল্লেও মুসলিম হতে পারবেন না যতদিন না আপনার আক্বিদা আর বিসসাস পরিবির্তন করবেন।
'কোনদিন ভেবে দেইখেন সাহাবিদের এই সব বিসসাস ছিল কিনা বা এই কুকর্ম করেছিল কিনা।
এই শিরকের পাতিলাকে যতদিন না লাথ্যি দিয়ে নিজের ঘর থেকে বের করতে পারবেন ততদিন নিজেকে অমুসলিম হিসেবেই জাইনেন।কারন মুসলিম কোনদিন এই কুকর্ম করে না।
আর এই শিন্নি খাওয়া হারাম কারন আল্লাহ ছারা অন্য কারো গাইরুল্লাহর নামে কিছু করলে তা হারাম হয়।
আসা করি বুঝাতে পেরেছি আর না বুঝলে বুঝার চেস্টা করুন।
না আল্লাহ করতে বলছে না তার রাসুল সাঃ না সাহাবি না আপনাদের মাজহাব এর ইমাম।তাহলে এই ইবাদত সয়তানের ইবাদত মনে রাইখেন।
সুধ যে ভাবে মানুষের ঘরে ঘরে ঢুকেছে ঠিক একই ভাবে শিরক মানুষের ঘরে ঢুকেছে।
আল্লাহ আমাদের দ্বীন সবার কাছেই স্পষ্ট হয় বুঝার তাউফিক দান করুক আমিন ।দ্বীন কেও গ্রহন করে কেও করে না।
No comments:
Post a Comment