Tuesday, June 16, 2015

দাবা খেলা হারাম


 দাবা খেলা হারাম

লোক সমাজে অনেক খেলাধূলার সাথেই হারাম জড়িত আছে। দাবা খেলা ঐ সম¯ত হারাম খেলাধূলার মধ্য হতে অন্যতম। আর এই দাবা খেলার মাধ্যমে আরো অনেক রকম হারাম খেলার প্রতি ঝুকে পড়ে মানুষ। বিশেষ করে এই দাবা খেলার দ্বারা বিভিন্ন রকম জুয়া খেলার সূচনা হয়। আর এ জন্যেই রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এই দাবা খেলা সম্পর্কে সতর্কবাণী উচ্চারণ করে বলেছেন,
مَنْ لَعِبَ بِالنَّرْدِ شِيْرٍ فَكَأَنَّمَا صَبَغَ يَدَهُ فِيْ لَحْمِ خِنْزِيْرٍ وَدَمِهِ
(مسلم ৪/ ১৭৭০).
অর্থঃ “যে ব্যক্তি দাবা খেলল সে যেন শুকরের রক্ত-মাংসে নিজের হাত রঞ্জিত করল” (মুসলিম ৪/১৭৭০)। আবূ-মূসা আশ‘আরী (রাঃ) হ'তে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
مَنْ لَعِبَ بِالنَّرْدِ فَقَدْ عَصَى اللهَ وَ رَسُوْلَهُ
(أحمد ৪/৩৯৪, صحيح الجامع ৬৫০৫).
অর্থঃ “যে ব্যক্তি দাবা খেলে সে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিধানকে অমান্য করল” (আহমাদ ৪/৩৯৪, ছহীহুল জামে ৬৫০৫)। সুতরাং দাবা ও তার আনুসঙ্গিক খেলা যেমন তাশ, পাশা, ফ্লাশ ইত্যাদি সম্বন্ধে অবশ্যই শরী‘আতের আদেশ মেনে চলতে হবে।

প্রশ্নঃ তাস খেলা ও দাবা খেলার বিধান কী? তাস খেলা ও দাবা খেলা যদি খেলোয়াড়কে নামায থেকে গাফেল বা বিরত না রাখে তাহ’লে কি তা খেলা জায়েয হবে?
উত্তরঃ তাস খেলা, দাবা খেলা এবং এধরনের আরো অন্যান্য খেলা সবই না জায়েয । কেননা এধরনের খেলা সবই অনর্থক সময় নষ্ট করার হাতিয়ার। কেননা এ সমস্ত খেলা আল্লাহর যিকির-আযকার হ’তে, যথা সময়ে নামায পড়া হ’তে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে । এবং অনর্থক সময় নষ্ট করতে বাধ্য করে। এ ছাড়া এ সমস্ত খেলা অনেক সময় পারস্পরিক শত্র“তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। আর যদি এ সমস্ত খেলা অর্থের বিনিময়ে অর্থাৎ হার-জিত হিসাবে খেলা হয়, তাহ’লে এ সমস্ত খেলা খুব বড় ধরনের হারাম কাজে পরিণত হবে তাতে কোন সন্দেহ নেই।

No comments:

Post a Comment