Tuesday, June 16, 2015

বিবাহ উপলক্ষে ওয়ালীমার ব্যবস্থা করা জরুরী


বিবাহ উপলক্ষে ওয়ালীমার ব্যবস্থা করা জরুরীঃ-

সহবাসের পর ওয়ালীমা করা এক গুরুত্বপুর্ণ সুন্নত। রাসূল (ﷺ) নিজে ওয়ালীমা করেছেন এবং ছাহাবীদের করতে বলেছেন।
عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ أَنَّ النَّبِيَّ
رَأَى عَلَى عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ عَوْفٍ أَثَرَ صُفْرَةٍ قَالَ مَا هَذَا قَالَ إِنِّي تَزَوَّجْتُ امْرَأَةً عَلَى وَزْنِ نَوَاةٍ مِنْ ذَهَبٍ قَالَ بَارَكَ اللهُ لَكَ أَوْلِمْ وَلَوْ بِشَاةٍ
আনাস (রা) বলেন, নবী (ﷺ) আব্দুর রহমান ইবনে আওফের গায়ে হলুদ রঙের চিহ্ন দেখে জিজ্ঞেস করলেন এটা কি? তিনি বললেন, আমি এক খেজুর আঠির ওজন স্বর্ণ দিয়ে একজন মহিলাকে বিবাহ করেছি। রাসূল (ﷺ) বললেন আল্লাহ তোমার বিবাহে রবকত দান করুক। একটি ছাগল দ্বারা হলেও তুমি ওয়ালীমা কর। (বুখারী ৫১৫৫, মুসলিম, মিশকাত হাঃ/৩২১০, বাংলা মিশকাত হাঃ/৩০৭২)
عَنْ أَنَسٍ قَالَ مَا أَوْلَمَ النَّبِيُّ
عَلَى أحد مِنْ نِسَائِهِ مَا أَوْلَمَ عَلَى زَيْنَبَ أَوْلَمَ بِشَاةٍ
আনাস ইবনে মালেক (রাঃ) বলেন, রাসূল (ﷺ) যায়নাবের বিবাহে যতবড় ওয়ালীমা করেছিলেন ততোবড় ওয়ালীমা তিনি তাঁর অপর কোন স্ত্রীর বিবাহে করেননি। (সহিহ-বুখারী ৫১৬৮,সহিহ-মুসলিম ২৫৬৯, মিশকাত হাঃ/৩২১১, বাংলা মিশকাত হাঃ/৩০৭৩)
عَنْ أَنَسٍ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ أَوْلَمَ رَسُولُ اللهِ
حِينَ بَنَى بِزَيْنَبَ بِنْتِ جَحْشٍ فَأَشْبَعَ النَّاسَ خُبْزًا وَلَحْمًا
আনাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ﷺ) যখন যায়নাব বিনতে জহ্শকে বিবাহ করলেন, তখন ওয়ালীমা করলেন এবং মানুষকে রুটি গোশত পেটপূর্ণ করে তৃপ্তি সহকারে খাওয়ালেন। (বুখারী ৪৭৯৪, মিশকাত ২/৩২১১, বাংলা মিশকাত হাঃ/৩০৭৪)
عَنْ أَنَسٍ أَنَّ رَسُولَ اللهِ
أَعْتَقَ صَفِيَّةَ وَتَزَوَّجَهَا وَجَعَلَ عِتْقَهَا صَدَاقَهَا وَأَوْلَمَ عَلَيْهَا بِحَيْسٍ
আনাস (রাঃ) বলেন, রাসুল (ﷺ) ছাফীয়্যা (রাঃ) কে মুক্ত করে বিবাহ করলেন, এবং তাঁর মোহরনির্ধারণ করলেন তাঁর মুক্তিপণ। তিনি তাঁর বিবাহের ওয়ালীমা করেছিলেন, হায়স, নামক খাদ্য দিয়ে (যা খেজুর, পনির ও ঘি দ্বারা তৈরি ছিল। (সহিহ-বুখারী ৫১৬৯,সহিহ- মুসলিম ২৫৬২, মিশকাত ২য়/ ৩২১৩, বাংলা মিশকাত হাঃ/৩০৭৫)
عَنْ أَنَسٍ قَالَ قَامَ النَّبِيُّ
يَبْنِي بِصَفِيَّةَ فَدَعَوْتُ الْمُسْلِمِينَ إِلَى وَلِيمَتِهِ أَمَرَ بِالْأَنْطَاعِ فَبُسِطَتْ فَأُلْقِيَ عَلَيْهَا التَّمْرُ وَالْأَقِطُ وَالسَّمْنُ
আনাস (রাঃ) বলেন, খায়বর থেকে ফিরে আসার সময় নবী (ﷺ) খায়বর ও মদীনার মধ্যবর্তী স্থলে তিনদিন অবস্থান করলেন এবং সেখানে ছাফীয়্যা (রাঃ) কে নিয়ে যাওয়া হলো। তিনি ওয়ালীমার ব্যবস্থা করলেন আর আমি মুসলিমদেরকে তাঁর ওয়ালীমার জন্য দাওয়াত করলাম।
এ ওয়ালীমায় রুটি-গোশত কিছুই হলো না। এই ওয়ালীমার জন্য রাসূল (ﷺ) চামড়ার দস্তরখান বিছানোর আদেশ করলেন। অতঃপর এই দস্তর খানের উপর খেজুর পনীর ও ঘি ঢেলে দেয়া হলো। (বুখারী ৫৩৮৭, মিশকাত হাঃ/৩২১৪, বাংলা মিশকাত হাঃ/৩০৭৬)
عَنْ صَفِيَّةَ بِنْتِ شَيْبَةَ قَالَتْ أَوْلَمَ النَّبِيُّ
عَلَى بَعْضِ نِسَائِهِ بِمُدَّيْنِ مِنْ شَعِيرٍ
ছাফীয়্যা বিনতে শায়বা (রাঃ) বলেন, নবী তাঁর এক স্ত্রীর ওয়ালীমা করেছিলেন মাত্র দু’মুদ যব দ্বারা। (সহিহ-বুখারী ৫১৭২, মিশকাত হা/৩২১৫, বাংলা মিশকাত হাঃ/৩০৭৭)
অতএব বাসর রাতের পর ওয়ালীমা করা কর্তব্য।

No comments:

Post a Comment