জানাযা বহনের সময়
ফাযায়েলে আমলের
মনগড়া বর্ণনাঃ
‘’তোমরা জানাযার সহিত
বেশী বেশী লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ
পড়িতে থাকো’’
ফাযায়েলে আমাল-
যাকারিয়া কান্ধলভী (রহঃ);
অনুবাদ-মুফতী মুহাম্মাদ উবাইদুল্লাহ;
ফাজায়েলে যিকির; পৃষ্ঠা নঃ ১৬৪
তাবলীগ জামা'আতের কিতাব
'ফাজায়েলে আমলে'
জাকারিয়া সাহারানপুরি সাহেবের
বর্ণনা করা উল্লেখিত আমলের কোন
অস্তিত্ব আমরা কোন হাদিস
গ্রন্থে খুজে পাই না।
নিম্নে আমরা জানাজা বহনের সময়
করনীয় সম্পর্কে রাসুল (সাঃ),
সাহাবীগনের কর্মপদ্বতি অতঃপর
ইমামগনের ফতওয়া উল্লেখ করছি।
''রাসুল (সাঃ) যখন কোন কফিনের
পিছনে চলতেন তখন নিরব থাকতেন
এবং তাঁর মধ্যে বিষণ্ণতার ছাপ
দেখা যেত’’
সুয়ুতী, আল-আমরু; পৃষ্ঠা নঃ ২৮
=================
জানাযার সামনে কোন প্রকার
যিকর-আযকার করা যাবে না।
বরং যিকর করা বিদা’আত।
কারন,
‘’রাসুল (সাঃ)-এর সাহাবাগন
খাটলির নিকট উচু
স্বরে কথা বলাকে অপছন্দ করতেন’’
হাদিসটি সহীহ
সনদে বায়হাকি (৪/৭৪), ইবনুল মুবারক
‘আল-যুহুদ’ (৮৩) গ্রন্থে এবং আবু নু’আইম
(৯/৫৮) বর্ণনা করেছেন।
==============
''কফিন বা লাশ বহন করার সময়
উচ্চস্বরে যিকর বা তিলাওয়াত
করা বিদা’আত। এ বিষয়ে চার
মাযহাবের ইমামগনের
মধ্যে কারো কোন দ্বিমত নেই''
শাতেবি, আল- ই'তিসাম খণ্ড ১;
পৃষ্ঠা নঃ ৩৭২
================
ইমাম নববী (রহঃ) তাঁর আযকার
গ্রন্থের ২০৩ পৃষ্ঠায় বলেনঃ
জেনে নাও যে, সঠিক ও উত্তম হল
সালাফগন (অর্থাৎ সাহাবাগন) যার
উপর ছিলেন।
জানাযা বা খাটলি বা কফিনের
সাথে চলার সময় নিরব থাকা,
কিরা’আত ও যেকোনো ধরনের
যিকরসহ অনুরুপ কিছু বলে আওয়াজকে উচ্চ
না করা। এর মাঝে হিকমত
বা প্রজ্ঞা প্রকাশ্য। আর সেটা হল এই
যে, তার অন্তঃকরণ স্থির থাকে।
জানাযার সাথে যে সকল চিন্তা-
ভাবনা সংশ্লিষ্ট তা একত্রিত হয়। এ
অবস্থায় এটাই উদ্দেশ্য। আর এটাই
সঠিক। অধিক সংখ্যক
বিপরীতমুখী যারা তাদের
দ্বারা প্রতারিত হওয়া যাবে না।
বর্তমান যুগে (অর্থাৎ তাঁর সময়ে)
দামেস্কসহ বিভিন্ন এলাকায়
অজ্ঞরা যে কফিন বা খাটলির নিকট
কুরআনসহ অন্য যা কিছু পাঠ
করে থাকে তা পাঠ করা আলেমদের
ঐকমতের সিদ্ধান্তে হারাম’’
================
অতএব হে আমার মুসলিম ভাই! আসুন
আমরা ভিত্তিহীন ও মনগড়া আমল বাদ
দিয়ে রাসুল (সাঃ) ও
সাহাবাগনের
শিখানো পদ্বতিতে আমল
করতে সচেষ্ট হই। রাসুল (সাঃ) বলেন
''যে ব্যাক্তি আমার
সুন্নাতকে অবজ্ঞা করবে, সে আমার
দলভুক্ত নয়'' বুখারী ৪৬৭৫
রাসুলের শিখানো পদ্বতির
বাইরে কোন আমল গ্রহণযোগ্য
হবে না। রাসুল (সাঃ) ''যে কেউ
আমাদের দ্বীনে এমন কিছু নতুন
উদ্ভাবন করবে, যা দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত
নয়, তা প্রত্যাখ্যাত'' বুখারী ২৫৫০;
মুসলিম ৪৪৬৭
পিছনে চলতেন তখন নিরব থাকতেন
এবং তাঁর মধ্যে বিষণ্ণতার ছাপ
দেখা যেত’’
সুয়ুতী, আল-আমরু; পৃষ্ঠা নঃ ২৮
=================
জানাযার সামনে কোন প্রকার
যিকর-আযকার করা যাবে না।
বরং যিকর করা বিদা’আত।
কারন,
‘’রাসুল (সাঃ)-এর সাহাবাগন
খাটলির নিকট উচু
স্বরে কথা বলাকে অপছন্দ করতেন’’
হাদিসটি সহীহ
সনদে বায়হাকি (৪/৭৪), ইবনুল মুবারক
‘আল-যুহুদ’ (৮৩) গ্রন্থে এবং আবু নু’আইম
(৯/৫৮) বর্ণনা করেছেন।
==============
''কফিন বা লাশ বহন করার সময়
উচ্চস্বরে যিকর বা তিলাওয়াত
করা বিদা’আত। এ বিষয়ে চার
মাযহাবের ইমামগনের
মধ্যে কারো কোন দ্বিমত নেই''
শাতেবি, আল- ই'তিসাম খণ্ড ১;
পৃষ্ঠা নঃ ৩৭২
================
ইমাম নববী (রহঃ) তাঁর আযকার
গ্রন্থের ২০৩ পৃষ্ঠায় বলেনঃ
জেনে নাও যে, সঠিক ও উত্তম হল
সালাফগন (অর্থাৎ সাহাবাগন) যার
উপর ছিলেন।
জানাযা বা খাটলি বা কফিনের
সাথে চলার সময় নিরব থাকা,
কিরা’আত ও যেকোনো ধরনের
যিকরসহ অনুরুপ কিছু বলে আওয়াজকে উচ্চ
না করা। এর মাঝে হিকমত
বা প্রজ্ঞা প্রকাশ্য। আর সেটা হল এই
যে, তার অন্তঃকরণ স্থির থাকে।
জানাযার সাথে যে সকল চিন্তা-
ভাবনা সংশ্লিষ্ট তা একত্রিত হয়। এ
অবস্থায় এটাই উদ্দেশ্য। আর এটাই
সঠিক। অধিক সংখ্যক
বিপরীতমুখী যারা তাদের
দ্বারা প্রতারিত হওয়া যাবে না।
বর্তমান যুগে (অর্থাৎ তাঁর সময়ে)
দামেস্কসহ বিভিন্ন এলাকায়
অজ্ঞরা যে কফিন বা খাটলির নিকট
কুরআনসহ অন্য যা কিছু পাঠ
করে থাকে তা পাঠ করা আলেমদের
ঐকমতের সিদ্ধান্তে হারাম’’
================
অতএব হে আমার মুসলিম ভাই! আসুন
আমরা ভিত্তিহীন ও মনগড়া আমল বাদ
দিয়ে রাসুল (সাঃ) ও
সাহাবাগনের
শিখানো পদ্বতিতে আমল
করতে সচেষ্ট হই। রাসুল (সাঃ) বলেন
''যে ব্যাক্তি আমার
সুন্নাতকে অবজ্ঞা করবে, সে আমার
দলভুক্ত নয়'' বুখারী ৪৬৭৫
রাসুলের শিখানো পদ্বতির
বাইরে কোন আমল গ্রহণযোগ্য
হবে না। রাসুল (সাঃ) ''যে কেউ
আমাদের দ্বীনে এমন কিছু নতুন
উদ্ভাবন করবে, যা দ্বীনের অন্তর্ভুক্ত
নয়, তা প্রত্যাখ্যাত'' বুখারী ২৫৫০;
মুসলিম ৪৪৬৭
No comments:
Post a Comment