Thursday, June 4, 2015

সালাতে জোরে আমিন..

সালাতে জোরে আমিন..





আয়েশা (রা) সূত্রে বর্নিত ,
রাসুল (সা) বলেন :
ইহুদীরা তোমাদের অন্য কোন
ব্যপারে এতটা ঈর্শানীত হয়
না, ,যতটা তোমাদের
সালাতে আমিন বলার
ব্যপারে হয়।
সুনানে ইবনে মাজা ,১ম খন্ড
হাদিস নং : ৮৫৬
ইমামের সশব্দে আমীন বলা।
আতা
(র.) বলেন,'আমীন' হল দুআ।
তিনি আরও বলেন,আব্দুল্লাহ
ইব্ন যুবাইর (রা.) ও তার
পিছনের মুসুল্লীগণ এমনভাবে আমীন বলতেন
যে,মসজিদে গুমগুম আওয়াজ
হতো।আবু হুরায়রা (রা.)
ইমামকে ডেকে বলতেন,আমাকে 'আমীন'
বলার সুযোগ থেকে বঞ্চিত
করবেন না।নাফি (র.) বলেন,ইব্ন উমর (রা.) কখনোই
'আমীন' বলা ছাড়তেন
না এবং তিনি তাদের (আমীন
বলার জন্য) উত্সাহিত
করতেন।আমি তার কাছ
থেকে এ সম্পর্কে হাদীস শুনেছি।
বুখারী শরীফ-২য় খন্ড,
৫০২ নাম্বার অনুচ্ছেদ
পৃষ্টা নাম্বার-১২০-১২১
ইসলামিক ফাউনডেশন
আমীন যদি জোরেই না বলা হয়
তাহলে মসজিদে 'গুমগুম'
আওয়াজ কি করে হতো আমার
বুজে আসেনা।
জোরে বলা হতো বলেইতো 'গুমগুম'
আওয়াজ হতো।অথচ আজ মাজহাবের দোহাই
দিয়ে আমদেরকে 'আমীন'
আস্তে বলতে বলে গুনাহ
থেকে ক্ষমা পাবার সুযোগ
থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে!
আল্লাহ আমাদের সবাইকে সঠিক
বিষয়টা বুজার তৌফিক
দিন,আমীন।
জেহেরি সলাতে সূরা ফাতিহা শেষ
করার পর সশব্দে ‘’আমীন’’
বলা প্রসঙ্গেঃ
ইমামের সশব্দে ‘’আমীন’’
বলাঃ
আত্বা (রঃ) বলেন, ‘’আমীন’’ হল দু’আ। তিনি আরো বলেন,
আবদুল্লাহ ইবন যুবায়ের
(রাঃ) ও তাঁর পিছনের
মুক্তাদীগন এত জোড়ে ‘’আমীন’’
বলতেন যে, মসজিদে গুমগুম
শব্দ হত। আবু হুরায়রাহ (রাঃ) ইমামকে ডেকে বলতেন,
আমাকে ‘’আমীন’’ বলার সুযোগ
থেকে বঞ্চিত করবেন না,
নাফি (রাঃ) বলেন, ইবন উমার
(রাঃ) কখনই ‘’আমীন’’
বলা ছাড়তেন না এবং তিনি তাদেরকে ‘’আমীন’’
বলতে উৎসাহিত করতেন।
[বুখারী ১০/১১১] আবু হুরায়রাহ (রাঃ)
হতে বর্ণিত। নাবী (সঃ)
বলেছেনঃ ইমাম যখন ‘’আমীন’’
বলবে তখন তোমরাও ‘’আমীন’’
বলবে। কেননা, যে ব্যাক্তির
‘’আমীন’’ বলা ফেরেশতাদের ‘’আমীন’’ বলার
সাথে মিলবে তাঁর পূর্বেকার
সব গুনাহ
ক্ষমা করে দেয়া হবে। ইবন
শিহাব (রঃ) বলেন, রাসুল
(সঃ) সুরাহ ফাতিহা শেষে ‘’আমীন’’
বলতেন। [বুখারি; হাদীস
নঃ ৭৮০] ওয়াইল বিন হুজর (রাঃ)
সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন,
আমি রাসুল (সঃ)-কে ‘’গাইরিল
মাগদুবি আলাইহিম ওয়ালাদ
দোওয়াললীন’’ পাঠ
করতে এবং ‘’আমীন’’ বলতে শুনেছি। আমীন
বলতে গিয়ে তিনি নিজের
কণ্ঠস্বর দীর্ঘ ও উচ্চ
করলেন। [তিরমিযি; সহীহ;
হাদীস নঃ ২৪৮]
============================== মুক্তাদীর সশব্দে ‘’আমীন’’
বলাঃ ওয়াইল বিন হুজর (রাঃ)
সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন,
সলাত
আদায়কালে (সুরা ফাতিহা শেষে)
রাসুল (সঃ) যখন
‘’ওয়ালাদ্দল্লিন’’ পড়তেন তখন তিনি সশব্দে ‘’আমীন’’
বলতেন। [আবু দাউদ; সহীহ;
হাদীস নঃ ৯৩২] আবু হুরায়রাহ (রাঃ)
হতে বর্ণিত। নাবী (সঃ)
বলেছেনঃ ইমাম যখন
‘’গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম
ওয়ালাদ দোওয়াললীন’’ বলেন
তখন তোমরা ‘’আমীন বল। কেননা, কারো ‘’আমীন’’
বলা ফেরেশতাগণের ‘’আমীন’’
বলার সাথে একই সময়
হলে তাঁর পূর্বের সব গুনাহ
ক্ষমা করে দেয়া হয়।
[বুখারী ; হাদীস নঃ ৭৮২] ওয়াইল বিন হুজর (রাঃ)
সুত্রে বর্ণিত। তিনি রাসুল
(সঃ)-এর পিছনে সলাত আদায়
করেছেন।
তাতে তিনি সশব্দে ‘’আমীন’’
বলেছেন। [আবু দাউদ; হাসান সহীহ; হাদীস নঃ ৯৩৩] ইবন জুরাইজ বলেন,
আমি আত্বা-কে জিজ্ঞেস
করলাম, সূরা ফাতিহা পাঠের
পর ইবন জুবাইর আমীন বলতেন
কি? উত্তরে আত্বা বললেন,
হ্যা, আর তাঁর পশ্চাতে মুক্তাদিরাও আমীন
বলত। এমনকি (আমীন-এর
গুঞ্জরনে) মসজিদ মুখরিত
হয়ে উঠত। অতঃপর
তিনি বললেন, ‘’আমীন’’ তো এক
প্রকার দু’আ। [মুসান্নাফ আব্দুর রাযযাক ২৬৪০]
==================================
‘’আমীন’’ বলার ফজিলতঃ
আবু হুরায়রাহ (রাঃ)
হতে বর্ণিত। নাবী (সঃ)
বলেছেনঃ তোমাদের কেউ ‘’আমীন’’ বললে,
আকাশে ফেরেশতাগণ ‘’আমীন’’
বলে থাকেন। উভয়ের ‘’আমীন’’
একই সময় হলে তাঁর
পূর্ববর্তী সব গুনাহ
ক্ষমা করে দেয়া হয়। [বুখারী ৭৮১] আবু হুরায়রাহ (রাঃ)
হতে বর্ণিত। তিনি বলেন,
রাসুল (সঃ) বলেছেনঃ ইমাম
যখন ‘’আমীন’’ বলবে তোমরাও
তখন ‘’আমীন’’ বলবে।
কেননা যার ‘’আমীন’’ বলা ফেরেশতাদের ‘আমীন’’
বলার সাথে সাথে হবে তাঁর
পূর্বেকার গুনাহসমুহ
ক্ষমা করে দেয়া হবে।
[তিরমিযি; সহীহ; হাদীস
নঃ ২৫০] রাসুল (সঃ) আরো বলেন, ইমাম
‘’গাইরিল মাগদুবি আলাইহিম
ওয়ালাদ্দল্লিন’’
বললে তোমরা ‘’আমীন’’ বল।
তাহলে (সূরা ফাতিহায়
উল্লেখিত দু’আ) আল্লাহ্ তোমাদের জন্য মঞ্জুর
করে নিবেন। [সহীহ আত-
তারগীব ওয়াত তারহীব ৫১৩]
======================================
আমীন শুনে ইয়াহুদিদের
হিংসাঃ অপরের ঐশ্বর্য,
উন্নতি বা মঙ্গল
দেখে ঈর্ষান্বিত
হয়ে সে সবের ধংস
কামনা করার নামই
পরশ্রীকাতরতা বা হিংসা। ইয়াহুদ এমন এক জাতি,
যারা সর্বদা মুসলিমদের মন্দ
কামনা করে। ইমামের
পিছনে ‘’আমীন’’ বলার উপর
ওদের সবচেয়ে বড় হিংসা। রাসুল (সঃ) বলেন, ইয়াহুদ কোন
কিছুর উপর
তোমাদেরে অতটা হিংসা করে না,
যতটা ‘’সালাম’’ করা ও
(সলাতে উচু আওয়াজে) ‘’আমীন’’
বলার উপর করে। [সহীহ ইবন খুজায়মাহ পৃষ্ঠা ন; ১৩৫]
অতএব তোমরা খুব
বেশী করে ‘’আমীন’’ বল। [ইবন
মাযাহ পৃষ্ঠা ৬২]
আমীন শুনে কারু রাগ/গোস্বা হওয়া উচিত নয়.
কেননা রাসুলুল্লাহﷺ এরশাদ করেছেন: ইহুদীরা তোমাদের সবচেয়ে বেশী হিংসা করে তোমাদের 'সালাম' ও 'আমীন' -এর কারণে.
কারন এই সাথে ফেরেশতারাও আমীন বলেন.
ফলে তা আল্লাহর নিকট কবুল হয়ে যায়.
(আহমাদ,ইবনু মাজাহ হা/856; সহীহ আত-তারগীব হা/512)

No comments:

Post a Comment