Sunday, June 7, 2015

প্রশ্ন : নামাজে ইমামের পিছনে সুরা ফাতেহা পড়া হারাম নাকি ফরজ?

প্রশ্ন :  নামাজে ইমামের পিছনে সুরা ফাতেহা পড়া হারাম নাকি ফরজ?
যখন কুরআন তেলাওয়াত
করা হয়,তোমরা তা মণযোগ
দিয়ে শোনো এবং চুপ
থাকো যাতে তোমাদের
উপর রহম করা হয়(আরাফ-
আয়াতঃ২০৪) এই আয়াতের সংগে নামাযে ইমামের
পিছনে সুরা ফাতেহা পড়া বা না পড়ার
কোনো সম্পর্ক নেই। কারণ
এ আয়াত মক্কায় নাজিল
হয়েছে,আর
নামাজে সুরা ফাতেহা পড়ার নির্দেশ হিযরতের পর
রাসুল(সঃ) দিয়েছেন
মদিনায়।আবু
হুরায়রা(রাঃ) ৭ম
হিযরিতে মদিনায়
মুসলমান হয়েছেন,আর তাকেই সর্ব প্রথম
মদিনার
ওলীতে গোলিতে এ
কথা ঘোষণা দেয়ার
জন্নে রাসুল(সাঃ)আদেশ
করেন,যে বেক্তি নামাযে সুরা ফাতেহা পড়েনা তার নামাজ হবে না।
(বায়হাকী-খন্ডঃ২-
পৃস্টাঃ৩৭৫) সহিহ
মুসলিমের বর্ণনায় আছে, ঐ
সময় ১বেক্তি আবু
হুরায়রার হাত ধরে বলেনঃ আমরা যদি ইমামের
পিছনে থাকি তা ও
কি পড়া লাগবে?
তিনি বলেন তাও.…রাসুল
(সাঃ)বলেনঃআমি যখন
জোড়ে কেরাত পড়ি তখন তোমরা সুরা ফাতেহা ছাড়া আর
কিছুই পড়োনা।
(নাসাঈ,সনদ সহিহ)এই
কথার সাক্খ যিনি দিলেন
তিনি" উবাদা "
তিনি ইমামের পিছনে সুরা ফাতেহা পড়তেন
(কিতাবুল কেরাত-
বায়হাকি- ২য় খন্ড-১৬৮
পৃষ্টা)..…উপরের আয়াত
নাজিল হওয়ার
কারনঃরাসুল(সাঃ) মক্কায় যখন সাধারণ
ভাবে কাফেরদের
কে কুরআন শুনাচ্ছিলেন
তখন
কাফেররা একে অপরকে বলেছিলো তোমরা তা শুননা,
০চিল্লা পাল্লা কর। তাহলে তোমরা জয়ি হবে,তখন
এই উপড়ের আয়াত নাজিল
হল।যে,রাসুল(সাঃ) যখন
কুরআন
পড়ে তোমরা ইহুদিরা তখন
চুপ থাকো ও মনোযোগ সহ তা শুনতে থাকো হয়তো তোমাদের
উপর রহম করা হবে।
বিস্সাস না হলে দেখুন
সুরাঃহামিম আস-
সিজদাহর ২৬নং আয়াতে.…
এইটাকে হানাফিরা চালিয়ে দেয় ইমামের
পিছনে মুসল্লীরা চুপ
থাকবে ও বলে আমাদের
দলিল হল কুরআন…

No comments:

Post a Comment