আল্লাহ বলেনঃ 'তোমরা গৃহাভ্যন্তরে অবস্থান করবে-মূর্খতা যুগের অনুরূপ নিজেদেরকে প্রদর্শন করবে না। নামায কায়েম করবে, যাকাত প্রদান করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রসূলের আনুগত্য করবে।' (সূরা আহযাব ৩৩) জাহেলি যুগে নারীরা নগ্ন অর্থ নগ্ন হয়ে নিজেদের প্রদর্শন করতো যাকে বর্বরতা এবং অসভ্যতা বলা হয়েছে। আমাদের নারীদের এই বর্বরতা, অসভ্যতা ,বেহায়াপনার পথ অবলম্বন করতে আল্লাহ এই আয়াতে কঠোরভাবে নিষেধ করেছেন।
আল্লাহ অন্য আয়াতে বলেনঃ 'হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। ' (সূরা আহযাব ৫৯)
এ আয়াতে স্বাধীন নারীদেরকে বিশেষ করে পর্দার আদেশ দেয়া হয়েছে।তাঁরা যেন মাথার উপরের দিক থেকে চাদর ঝুলিয়ে মুখ ঢেকে রাখে। যাতে দুষ্ট লোকদের থেকে তাঁরা হেফাজতে থাকে।
আল্লাহ বলেনঃ
' মু’মিনদেরকে বলঃ তারা যেন দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের লজ্জাস্থানের
হিফাযাত করে। এতে তাদের জন্য উত্তম পবিত্রতা রয়েছে; তারা যা করে সেই বিষয়ে
আল্লাহ অবহিত।ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং
তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া
তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে
ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র,
ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী,
যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ,
তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের
গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা
সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও।'' (সূরা নূর ৩০-৩১) এই
আয়াতে আল্লাহ পুরুষ এবং নারীদের বলেছেন দৃষ্টি নিচু করে রাখতে। এবং
লজ্জাস্থানের হেফাজত করতে। এক্ষেত্রে আল্লাহ পুরুষদের আগে দৃষ্টি নিচু করতে
বলেছেন। সুতরাং নারীর আগে পুরুষের দৃষ্টি নিচু করতে হবে। আর নারীদের বলা
হয়েছে দৃষ্টি নিচু করতে এবং লজ্জাস্থানের হেফাজত করতে। এবং যাদের সাথে দেখা
করা যাবেনা এবং সৌন্দর্য প্রকাশ করা যাবেনা তাদের লিস্ট বলে দেয়া হয়েছে।
অপর আয়াতে বলা হয়েছেঃ ''তোমরা তাঁর পত্নীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্যে এবং তাঁদের অন্তরের জন্যে অধিকতর পবিত্রতার কারণ। '' (সূরা আহযাব ৫৩)
অত্র আয়াতের সারমর্ম এই যে, নারীদের কাছ থেকে কোন পুরুষ কোন ব্যাবহারিক পাত্র, বস্তু নেয়ার দরকার হলে সামনে থেকে নিবেনা। বরং পর্দার আড়াল থেকে নিবে এবং কথা বলবে। এবং এটা পুরুষ নারীকে কুমন্ত্রনা থেকে বাচিয়ে রাখে।
আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝার তৌফিক দান করুণ। আমীন।
অপর আয়াতে বলা হয়েছেঃ ''তোমরা তাঁর পত্নীগণের কাছে কিছু চাইলে পর্দার আড়াল থেকে চাইবে। এটা তোমাদের অন্তরের জন্যে এবং তাঁদের অন্তরের জন্যে অধিকতর পবিত্রতার কারণ। '' (সূরা আহযাব ৫৩)
অত্র আয়াতের সারমর্ম এই যে, নারীদের কাছ থেকে কোন পুরুষ কোন ব্যাবহারিক পাত্র, বস্তু নেয়ার দরকার হলে সামনে থেকে নিবেনা। বরং পর্দার আড়াল থেকে নিবে এবং কথা বলবে। এবং এটা পুরুষ নারীকে কুমন্ত্রনা থেকে বাচিয়ে রাখে।
আল্লাহ আমাদের সঠিক বুঝার তৌফিক দান করুণ। আমীন।
No comments:
Post a Comment