Saturday, June 6, 2015

প্রশ্ন : এক শ্রেণীর মানুষ ১৮ই জিলহজ্জকে ‘ঈদে গাদীর’ হিসাবে আখ্যায়িত করে। এদিনের বিভিন্ন ফযীলত যেমন এদিনে রাসূল (ছাঃ) ছিয়াম পালন করেন, এদিন আল্লাহ ইসলামের পূর্ণতা ঘোষণা করেন ইত্যাদি বলে থাকে। এর কোন ভিত্তি আছে কি?

প্রশ্ন : এক শ্রেণীর
মানুষ ১৮ই জিলহজ্জকে
‘ঈদে গাদীর’ হিসাবে
আখ্যায়িত করে। এদিনের
বিভিন্ন ফযীলত যেমন
এদিনে রাসূল (ছাঃ)
ছিয়াম পালন করেন, এদিন
আল্লাহ ইসলামের পূর্ণতা
ঘোষণা করেন ইত্যাদি
বলে থাকে। এর কোন
ভিত্তি আছে কি?


উত্তর : এগুলি সবই
বানাওয়াট কথা এবং
ভ্রান্ত ফিরক্বা শী‘আদের
অনুকরণ মাত্র। ঘটনা হ’ল এই
যে, বিদায় হজ্জ থেকে
ফেরার পথে বুরাইদা
আসলামী (রাঃ) রাসূলে
করীম (ছাঃ)-এর নিকটে
আলী (রাঃ) সম্পর্কে কিছু
অভিযোগ পেশ করেন। যা
ইয়ামনে গণীমত বণ্টন
সংক্রান্ত বিষয়ে ছিল।
মূলতঃ এটা ছিল বুরাইদার
বুঝের ভুল। এজন্য আল্লাহর
রাসূল (ছাঃ) খুম কূয়ার
নিকটে যাত্রাবিরতি
করে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ
দেন। যেখানে তিনি
নবী পরিবারের উচ্চ
মর্যাদা ব্যাখ্যা করেন।
অতঃপর আলীর হাত ধরে
বলেন, ﻣَﻦْ ﻛُﻨْﺖُ ﻣَﻮْﻻَﻩُ ﻓَﻌَﻠِﻰٌّ ﻣَﻮْﻻَﻩُ
‘আমি যার বন্ধু, আলীও তার
বন্ধু’ (তিরমিযী হা/৩৭১৩;
মিশকাত হা/৬০৮২;
ছহীহাহ হা/১৭৫০;
বিস্তারিত দ্রঃ সীরাতুর
রাসূল (ছাঃ) ৬৪৩ পৃঃ) । এই
ভাষণটি ইতিহাসে খুম
কূয়ার নিকটে ভাষণ ( ﺧﻄﺒﺔ
ﻏﺪﻳﺮ ﺧﻢ ) বলে পরিচিত।
দ্বিতীয়তঃ ১৮ই যিলহজ্জ
ওছমান (রাঃ)-এর শাহাদত
বরণের তারিখকে
শী‘আরা ঈদের দিন
হিসাবে ঘোষণা করে।
যা আববাসীয় খলীফা
মুতী‘ বিন মুক্বতাদিরের
সময় তাঁর কট্টর শী‘আ আমীর
মুইযযুদ্দৌলা ৩৫১ হিজরীর
১৮ই যিলহজ্জ তারিখে
উক্ত ঘোষণা করেন। ফলে
তখন থেকে এই দিনটি
শী‘আদের মধ্যে ঈদুল
আযহার চাইতেও গুরুত্ব পায়
(বিস্তারিত দ্রঃ
আশূরায়ে মুহাররম পৃঃ ৬-৭) ।

No comments:

Post a Comment