Friday, August 7, 2015

নারী-পুরুষের নামাযের পদ্ধতি একই না ভিন্ন্য প্রকার,?



<<<<<<নারী-পুরুষের নামাযের পদ্ধতি একই না ভিন্ন্য প্রকার,?>>>>>>
পুরুষ ও মহিলার নামাযের পদ্ধতি একই প্রকার।
সুতরাং মহিলাও ঐরুপ একই তরীকায় নামায পড়বে, যেরুপ ও যে তরীকায় পুরুষ পড়ে থাকে।
কারণ, (নারী-পুরুষ উভয় জাতির) উম্মতকে সম্বোধন করে রসূল (সাঃ) বলেছেন,
“তোমরা সেইরুপ নামায পড়, যেরুপ আমাকে পড়তে দেখেছ।
(বুখারী, মুসলিম, মিশকাত ৬৮৩নং)
আর উভয়ের নামায পৃথক হওয়ার ব্যাপারে কোন দলীলও নেই।
সুতরাং যে আদেশ শরীয়ত পুরুষদেরকে করেছে, সে আদেশ মহিলাদের জন্যও
এবং যে সাধারণ আদেশ মহিলাদেরকে করেছে তাও পুরুষদের ক্ষেত্রে পালনীয় -যদি বিশেষ হওয়ার ব্যাপারে কোন প্রকার দলীল না থাকে।
যেমন, “যারা সতী মহিলাদের উপর মিথ্যা অপবাদ আরোপ করে, অতঃপর চারজন সাক্ষী উপস্থিত করে না, তাদের জন্য শাস্তি হল ৮০ কোড়া-।
(কুরআন মাজীদ ২৪/৪)
পরন্তু যদি কেউ কোন সৎ পুরুষকে অনুরুপ অপবাদ দেয়, তবে তার জন্যও ঐ একই শাস্তি প্রযোজ্য।
সুতরাং মহিলারাও তাদের নামাযে পুরুষদের মতই হাত তুলবে, পিঠ লম্বা করে রুকূ করবে, সিজদায় জানু হতে পেট ও পায়ের রলাকে দূরে রেখে পিঠ সোজা করে সিজদাহ করবে।
তাশাহ্‌হুদেও সেইরুপ বসবে, যেরুপ পুরুষরা বসে। উম্মে দারদা (রাঃ) তাঁর নামাযে পুরুষের মতই বসতেন।
আর তিনি একজন ফকীহ্‌ ছিলেন।
(আত্‌-তারীখুস স্বাগীর, বুখারী ৯৫পৃ:, বুখারী, ফাতহুল বারী, ইবনে হাজার ২/৩৫৫)
আর মহিলাদের জড়সড় হয়ে সিজদাহ করার ব্যাপারে কোন হাদীস সহীহ নয়। (সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ২৬৫২ নং) এ জন্যই ইবরাহীম নাখয়ী (রহঃ) বলেন, ‘নামাযে মহিলা ঐরুপই করবে, যেরুপ পুরুষ করে থাকে।’
(ইবনে আবী শাইবা, সিফাতু স্বালাতিন নাবী (সাঃ), আলবানী ১৮৯পৃ:)
পক্ষান্তরে দলীলের ভিত্তিতেই নামাযের কিছু ব্যাপারে মহিলারা পুরুষদের থেকে ভিন্নরুপ আমল করে থাকে। যেমন:-
★১। বেগানা পুরুষ আশে-পাশে থাকলে (জেহরী নামাযে) মহিলা সশব্দে কুরআন পড়বে না। (আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ৩/৩০৪) যেমন সে পূর্ণাঙ্গ পর্দার সাথে নামায পড়বে। তাছাড়া একাকিনী হলেও তার লেবাসে বিভিন্ন পার্থক্য আছে।
★২। মহিলা মহিলাদের ইমামতি করলে পুরুষদের মত সামনে না দাঁড়িয়ে কাতারের মাঝে দাঁড়াবে।
★৩। ইমামের ভুল ধরিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে মহিলা পুরুষের মত ‘সুবহা-নাল্লাহ্‌’ না বলে হাততালি দেবে।
★৪। মহিলা মাথার চুল বেঁধে নামায পড়তে পারে, কিন্তু (লম্বা চুল হলে) পুরুষ তা পারে না।
এ সব ব্যাপারে দলীলসহ্‌ বিস্তারিত আলোচনা যথাস্থানে দ্রষ্টব্য।
অনেক মহিলা আছে, যারা মসজিদে বা বাড়িতে পুরুষদের নামায পড়া না হলে নামায পড়ে না।
এটা ভুল। আযান হলে বা নামাযের সময় হলে আওয়াল অক্তে নামায পড়া মহিলারও কর্তব্য।
(মুত্বাসা ১৮৮-১৮৯পৃ:)

কুরআন


আসলে এ কুরআন এমন পথ দেখায় যা একেবারেই সোজা। যারা একে নিয়ে ভাল কাজ করতে থাকে তাদেরকে সে সুখবর দেয় এ মর্মে যে, তাদের জন্য বিরাট প্রতিদান রয়েছে।
বনী ইসরাঈল, আয়াত ৯
যে কেউ সৎপথে চলে, তারা নিজের মঙ্গলের জন্যেই সৎ পথে চলে। আর যে পথভ্রষ্ট হয়, তারা নিজের অমঙ্গলের জন্যেই পথ ভ্রষ্ট হয়। কেউ অপরের বোঝা বহন করবে না।
বনী ইসরাঈল, আয়াত ১৫
যে কেউ আশু লাভের। আকাঙ্ক্ষা করে, তাকে আমি এখানেই যাকিছু দিতে চাই দিয়ে দেই, তারপর তার ভাগে জাহান্নাম লিখে দেই, যার উত্তাপ সে ভুগবে নিন্দিত ও ধিকৃত হয়ে।
বনী ইসরাঈল, আয়াত ১৮
তোমার রব ফায়সালা করে দিয়েছেনঃ
(১) তোমরা কারোর ইবাদাত করো না, একমাত্র তাঁরই ইবাদাত করো।
(২) পিতামাতার সাথে ভালো ব্যবহার করো৷ যদি তোমাদের কাছে তাদের কোনো একজন বা উভয় বৃদ্ধ অবস্থায় থাকে, তাহলে তাদেরকে “উহ্‌” পর্যন্তও বলো না এবং তাদেরকে ধমকের সুরে জবাব দিয়ো না বরং তাদের সাথে মর্যাদা সহকারে কথা বলো।
আর দয়া ও কোমলতা সহকারে তাদের সামনে বিনম্র থাকো এবং দোয়া করতে থাকো এই বলেঃ হে আমার প্রতিপালক! তাদের প্রতি দয়া করো, যেমন তারা দয়া, মায়া, মমতা সহকারে শৈশবে আমাকে প্রতিপালন করেছিলেন।
বনী ইসরাঈল, আয়াত ২৩-২৪
আত্মীয়কে তার অধিকার দাও এবং মিসকীন ও মুসাফিরকেও তাদের অধিকার দাও।
বনী ইসরাঈল, আয়াত ২৬
বাজে খরচ করো না। যারা বাজে খরচ করে তারা শয়তানের ভাই আর শয়তান তার রবের প্রতি অকৃতজ্ঞ।
বনী ইসরাঈল, আয়াত ২৭

ইসলাম এর দাওয়াত



ইসলাম এর দাওয়াত দিতে গেলে যারা বলে থাকে ''আমাকে জ্ঞেন না দিয়ে আপনি নিজের চরকায় তেল দিন' অথবা বলে থাকে 'কুরআন হাদিস আমিও কম বুঝিনা সুতরাং 'আপনি আপনার মেশিনে তেল দিন ।' অন্যদের ব্যাপারে নাক গলাবেন না। তাদের উদ্দেশে একটু বলতে চাইঃ
- একিজন মুসলিম আরেকজন মুসলিম এর ভাইবোন। একজন মানুষ যখন কুরআন সুন্নার সত্যিকার জ্ঞেন অর্জন করতে পারবে তখন সে অবশ্যই চাইবে বাকি সব মুসলিম ভাইবোন ও অমুসলিমদের জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাতে। সুতরাং এক্ষেত্রে একজন মুসলিম হয়ে এমন বিরক্ত হওয়া মোটেও উচিৎ নয়। দুনিয়াতে কেউ চিরদীন বেঁচে থাকবেনা। বিচার একদিন হবেই ইনশাআল্লাহ্‌। আপনি যদি বলেন আপনি কুরআন হাদিস বুঝেন তাহলে নামায পরেননা কেন ৫ অয়াক্ত ? আপনি কি জানেন না রাসুল (সঃ) বলেছেন 'একজন মুমিন আর সিরক কুফরির মদ্ধে পার্থক্য হচ্ছে সালাত (নামায) !' তিনি আরও বলেছেন 'যে সালাত আদায় করবে সে মুসলিম আর যে সালাত আদায় করবেনা সে কাফের'। তাহলে আপনি কেন নামায পরেন না ? আপনি কি জানেন না আল্লাহ কুরআন এ সব প্রকার নেশাদার দ্রব্ব হারাম করেছেন ? তাহলে মদ,সিগারেট আর অন্যান্য নেশা কিভাবে খাচ্ছেন ? আপনি কি জানেন না কুরআন মাজিদে আল্লাহ নারীদের বলেছেন পর্দা করতে ? আর পর্দার বিধি বিধান রাসুল (সঃ) এর হাদিসে বিস্তারিত থাকা সত্তেও আপনি কিভাবে মডেল হয়ে বেপর্দা হয়ে ডিজিটাল ভাবে ঘুরছেন ? আপনার ইমান থাকলে আর কুয়ারন হাদিসের জ্ঞেন থাকলে তো আপনাকে এই বিষয়ে বলা লাগতনা যেহেতু আপনি সবই জানেন।
যারা বলে থাকে 'আপনি নিজের চরকায় তেল দিন !' তাদের বলতে চাই, আমি তো নিচের চরকায় ই তেল দিচ্ছি। কারন প্রত্যেক মুসলিম এর উপর আল্লাহ ইসলাম এর দাওয়াত পৌঁছে দেয়া ফরয করেছেন। উধাহরন স্বরূপ বলা যায়ঃ আপনি পিকনিকে গেলেন আপনার পরিবার নিয়ে একটা পাহাড়ি এলাকায়। আর সেকানে আপনার চোখের আড়ালে আপনার ছোটো বাচ্চাটি পাহাড়ের ঠিক শেষ মাথায় চলে গেল। আপনি দূর থেকে দেখে জোরে জোরে ডাকছেন কিন্তু বাচ্চা শুনতে পাচ্ছেনা আপনার চিৎকার। কিন্তু আপনি দেখছেন সেখানে একজন লোক দাঁড়িয়ে আছে অথচ আপনার বাচ্চাকে বাঁচাতে এগিয়ে জাচ্ছেনা। আর এক সময় বাচ্চাটা পাহার থেকে পড়ে মারা গেল। তখন আপনি ঐ লোকটাকে জিজ্ঞাস করলেন, আপনি আমার বাচ্চাটাকে একটু হাত বাড়ালেই তো বাঁচাতে পারতেন। তখন লোকটা যদি বলে 'আমি কেন বাঁচাব ! আমি আমার নিজের চরকায় তেল দিচ্ছিলাম।' বলুনতো তখন আপনার কেমন লাগবে ?
- জাহান্নামের আগুন তার চেয়ে ভয়ানক। বিচারের মাঠে মুসলিম অমুসলিম সবাই আল্লাহ্‌র কাছে বিচার দিবে কেন তার কাছে দাওয়াত দেয়া হলনা। আর তখন মুসলিমদের এর জবাব দিতে হবে যদি তারা নিজেরাই আমল করে আর মানুষকে দাওয়াত না দেয়। আশা করি বুঝতে পারছেন আমি কি বলতে যাচ্ছি। আল্লাহ আমাদের সবাইকে হেদায়েত দিন আর সঠিক বুঝার জ্ঞেন দান করুন। আমীন !