Friday, November 30, 2018

সন্তান হওয়ার জন্য কি দোয়া করতে হবে? অনেকে সন্তান হওয়ার জন্য পীরের মাজারে দরবারে গিয়ে থাকে তা কি ঠিক?

সন্তান হওয়ার জন্য কি দোয়া করতে হবে? অনেকে সন্তান হওয়ার জন্য পীরের মাজারে দরবারে গিয়ে থাকে তা কি ঠিক?
উত্তরঃ সন্তান দেয়া বা না দেয়ার একমাত্র ক্ষমতা মহান আল্লাহর হাতে।
সন্তান না হলে মহান আল্লাহ তায়ালার
শিখানো এই দোয়া বেশি বেশি পাঠ
করুন, হয়ত মহান আল্লাহ তায়ালা সন্তান দান করবেন-
ِّﺏَﺭ ﺐَﻫ ﻟﻰ َﻦِﻣ َﻦﻴﺤِﻠّٰﺼﻟﺍ
উচ্চারণঃ 'রাব্বি হাবলী মিনাস স্বালিহীন।'
অর্থঃ "হে আমার প্রতিপালক! আমাকে এক সৎপুত্র দান কর।" (সূরা সাফফাত,
আয়াতঃ ১০০) সন্তান দানের ক্ষমতা একমাত্র আল্লাহ তায়ালার হাতে। মহান আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ "নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের রাজত্ব আল্লাহ তায়ালারই। তিনি যা ইচ্ছা, সৃষ্টি করেন, যাকে ইচ্ছা কন্যা-সন্তান এবং যাকে ইচ্ছা পুত্র সন্তান দান করেন। অথবা তাদেরকে দান করেন পুত্র ও কন্যা উভয়ই এবং যাকে ইচ্ছা বন্ধ্যা করে দেন। নিশ্চয় তিনি সর্বজ্ঞ, ক্ষমতাশীল। (সূরা আশ-শুরা, আয়াতঃ ৪৯-৫০) সুতরাং চাওয়ার হলে সেই সত্ত্বার কাছেই চান যিনি আপনার চাওয়াকে পূর্ণ করবেন। মাজার, পীর, কথিত অলি- আউলিয়ার কাছে গিয়ে বা অন্য কোথাও গিয়ে নিজের ঈমান হারানো ছাড়া বিন্দু পরিমাণও কোন উপকার হবে না। কারণ তারা আপনার কেন নিজেদেরই উপকার বা অপকার
করার কোন ক্ষমতাই রাখেন না।

Image result for maa o shishu

Sunday, November 18, 2018

মাতৃভাষায় জুমার খুতবা দেয়ার বিধান !!


মাতৃভাষায় জুমার খুতবা দেয়ার বিধানঃ
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার খুতবায় আল্লাহর তারীফ করতেন, দরুদ পড়তেন, কুরআন থেকে তেলাওয়াত করতেন এবং কিছু ওয়াজ-নছীহত ও করতেন। নবীদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন:
وَمَا أَرْسَلْنَا مِن رَّسُولٍ إِلَّا بِلِسَانِ قَوْمِهِ لِيُبَيِّنَ لَهُمْ
“আমি সব নবীকেই তাদের স্বজাতির ভাষাভাষী করেই প্রেরণ করেছি, যাতে তাদেরকে পরিষ্কার বোঝাতে পারে।” (সূরা ইবরাহীম: ৪)
রসুলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাতৃভাষা যেহেতু আরবী ছিল এবং ছাহাবীদেরও ভাষা আরবী ছিল, তাই তিনি আরবীতেই তাদেরকে নছীহত করতেন। এখন যারা নবীজির নায়েব হয়ে জুমার খুতবা দিবেন তাদেরকেও উল্লেখিত আয়াত ও হাদীছ অনুসারে তাদের শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে মাতৃভাষায় খুতবা দেয়াটা শরীয়ত সম্মত এবং যুক্তি সংগত।
• এই কারণেই ইমাম শাফেয়ী (রহ.) বলেন: প্রত্যেক খতীবকে জুমার সময় তাঁর মাতৃভাষায় ওয়াজ করা ওয়াজিব বা অবশ্য কর্তব্য। (তানক্বীহুর রুওয়াত ১/২৬৪)
• আল্লামা তাহাভী হানাফী বলেন: জুমার খুতবা আরবী জানলেও ফারসী ভাষায় ও চলবে। (হাশিয়া তাহতাবী আলা মারাক্বিল ফালাহ ২৭)
• আল্লামা আব্দুল হাই লাখনভী হানাফী (রহ) বলেন: শ্রোতাদেরকে তাদের মাতৃভাষায় খুতবা বুঝিয়ে দেয়া জায়েজ। (মাজমূআহ ফাতাওয়া ১/২৪৫)
• হানাফী ফিক্বহ গ্রন্থ নিহায়া, মুজতাবা, ফাতাওয়া সিরাজিয়্যাহ, মুহীত প্রভৃতি গ্রন্থে আছে যে, ইমাম আবূ হানীফার মতে ফারসী ভাষাতে জুমার খুতবা দেয়া জায়েজ।
• হানাফী ফতোয়ার কিতাব শামীতে আছে, আরবী ভাষায় খুতবা দেয়া শর্ত নয়।
• হানাফী ফিকহ গ্রন্থ হিদায়ায় আছে, প্রত্যেক ভাষায় খুতবার নছীহত চলতে পারে। (কিতাবুল জুমআহ ৫৫-৫৬) (আলোচনা দ্র: আইনী তোহফা সলাতে মুস্তফা১/৯৮-৯৯)
খুতবারা আগে বয়ান একটি বিদআত:
নিজ ভাষায় খুতবা না দেয়ার কারণে যেহেতু তা মানুষের বোধগম্য হয় না এজন্যই এই খুতবার আগে খতীবগণ বয়ানের ব্যবস্থা রেখেছেন, যা শরীয়তের দৃষ্টিতে একটি জঘন্যতম বিদআত। কারণ খুতবা দানের পূর্বে বয়ান দেয়া এবং ইহাকে এভাবে স্থায়ী রূপ দেয়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে আদৌ প্রমাণিত নয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুতবার পূর্বে কখনো এ ধরণের বয়ান দেন নি। দিতে বলেছেন বলে ও কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না।
এজন্যই এ সঊদী আরবের বরেণ্য মুফতী শাইখ ইবনে উসাইমীন (রহ:)কে মাতৃভাষায় খুতবা প্রদান সম্পর্কে সওয়াল করা হলে তিনি তা সরাসরি জায়েজ বলে মন্তব্য করেন এবং একথা স্পষ্ট ভাবে বলেন যে, খতীবকে নিজ ভাষায় খুতবা দিতে হবে। (দেখুন: শাইখ ইবনে উসাইমীনের ফাতাওয়া আরকানিল ইসলাম)
বর্তমানে আমাদের দেশের বেশ কিছু জামে মসজিদে মাতৃভাষায় খুতবা দেয়া হয়ে থাকে। বস্তুত: এটাই সুন্নত। এর বিপরীত সুন্নত বিরোধী কাজ যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। আল্লাহ আমাদেরকে দ্বীনের সঠিক ইলম দান করুন এবং যাবতীয় বিদআত পরিত্যাগ করার তাওফীক দিন (আমীন)
লেখক: শাইখ আখতারুল আমান বিস আব্দুস সালাম
সম্পাদনা: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল


Sura: Al-Faatiha

Sura: Al-Faatiha
(1) ۞ بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ [١:١]
শুরু করছি আল্লাহর নামে যিনি পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।
﴿١﴾

الْحَمْدُ لِلَّهِ رَبِّ الْعَالَمِينَ [١:٢]
যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তাআলার যিনি সকল সৃষ্টি জগতের পালনকর্তা।
﴿٢﴾

الرَّحْمَٰنِ الرَّحِيمِ [١:٣]
যিনি নিতান্ত মেহেরবান ও দয়ালু।
﴿٣﴾

مَالِكِ يَوْمِ الدِّينِ [١:٤]
যিনি বিচার দিনের মালিক।
﴿٤﴾

إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ [١:٥]
আমরা একমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই সাহায্য প্রার্থনা করি।
﴿٥﴾

اهْدِنَا الصِّرَاطَ الْمُسْتَقِيمَ [١:٦]
আমাদেরকে সরল পথ দেখাও,
﴿٦﴾

صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمْ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ [١:٧]
সে সমস্ত লোকের পথ, যাদেরকে তুমি নেয়ামত দান করেছ। তাদের পথ নয়, যাদের প্রতি তোমার গজব নাযিল হয়েছে এবং যারা পথভ্রষ্ট হয়েছে।